Type to search

যশোর মহিলা আ.লীগের পদ বঞ্চিত নারীদের চরিত্রহরণ চেষ্টার অভিযোগ

অভয়নগর

যশোর মহিলা আ.লীগের পদ বঞ্চিত নারীদের চরিত্রহরণ চেষ্টার অভিযোগ

যশোর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের পদ বঞ্চিত ও অবমূল্যায়িত নেতাকর্মীরা যখন কমিটি পুনঃবিচেনার জন্য রাজপথে আন্দোলন করছেন তখন তাদের চরিত্রহরণের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিতর্কিত মন্তব্য ও পোস্ট করছেন জেলা সভাপতি লাইজু জামানের ছেলে ও তার সহযোগীরা। এতে পদ বঞ্চিতরা আরো ক্ষিপ্ত ও রুষ্ট হয়েছেন।

এদিকে রাজপথে থাকা অধিকাংশ নেতাকর্মীর কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি উল্লেখ করে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন গত ১১ জুন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে বিএনপি-জামায়াত পরিবারের সদস্য, সরকারি চাকরিজীবী, জেলা সভাপতি লাইজু জামানের ড্রাইভারের স্ত্রী, সম্পাদক মিলির গৃহপরিচালিকাসহ অপরিচিতদের কমিটিতে ঠাঁই দেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। কমিটি গঠনে লাইজু জামান ও মিলি স্বজনপ্রীতি করেছন। পকেট কমিটি প্রত্যাহার করে ত্যাগী পরীক্ষিত আওয়ামী লীগ পরিবারের কর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করার অনুরোধ করেছেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন।

এদিকে সদ্য অনুমোদিত জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে স্থান না পেয়ে ৯ জুন বঞ্চিতরা স্থানীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। সেই সংবাদ সম্মেলনের খবর অনেকে ফেসবুকে শেয়ার করলে সেখানে বাজে মন্তব্য করা হচ্ছে। পদ বঞ্চিতদের নামে অপবাদ ও কুৎসা রটানো হচ্ছে। ভুক্তভোগী নাসিমা সুলতানা মহুয়া ও শিমু চৌধুরী দৈনিক কল্যাণকে বলেন, সভাপতি লাইজু জামানের ছেলে আশরাফুজ্জামান ইমন এই নোংরামি করছেন। ইমন ফেসবুকে তার মায়ের পক্ষ নিয়ে আমাদের মাদক বিক্রেতা, চরিত্রহীনসহ বিভিন্ন মিথ্যা অপবাদ দিয়ে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় করছেন। তারা সেগুলো স্ক্রিন শর্ট দিয়ে রেখেছেন। প্রয়োজনে আদালতে মামলা করবেন।

নাসিমা সুলতানা মহুয়া ও শিমু চৌধুরী আরো বলেন, আমাদের অপবাদ দেওয়ার আগে তাদের নিজের আয়নার মুখ দেখা উচিত। কিভাবে গাড়ি, বাড়ির মালিক হয়েছেন। সভাপতির কি ব্যবসা, গাজীর বাজারে জমি কোন প্রক্রিয়ায় তার হলো এ বিষয়ে প্রশাসন ও সাংবাদিকরা খোঁজ নিলেই জানতে পারবে। তারা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, লাইজু জামানের নাকি সভাপতি হতে ৩০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। এজন্য সেই টাকা তুলতে তিনি কারো কাছ থেকে দুই লক্ষ, কারো কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে পদ দিয়েছেন।

পদ বঞ্চিতদের অভিযোগ বিষয়ে গত ৯ জুন দৈনিক কল্যাণকে লাইজু জামান মুঠোফোনে বলেছিলেন, পদ না পেয়ে বঞ্চিতরা মনের কষ্টে ভুল তথ্য দিচ্ছে। আর সাধারণ সম্পাদক জোৎস্না আরা মিলি বলেছিলেন, পকেট কমিটি হয়নি। যারা পদে আসেনি; তারা তো আমার সাথে কোন যোগাযোগ রাখেনি।

এদিকে ‘বাঁচাও যশোর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ’ এ স্লোগানে গতকালও প্রেসক্লাবের সামনে পদ বঞ্চিতরা মানববন্ধন করেছেন। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নাছিমা সুলতানা মহুয়া, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য শিমু চৌধুরী, সাবেক কোষাধ্যক্ষ সাহিদা বেগম, মণিরামপুর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আসমাতুন নাহার, মহিলা আওয়ামী লীগনেত্রী শামীমা বেগম, মোর্শেদা আক্তার ও আসমা জাহান।

মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ মহিলা আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করতে হাইব্রিড ও অনুপ্রবেশকারীদের দ্রুতই বাদ দিয়ে নতুন করে কমিটি গঠনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *