Type to search

যশোরে বাজার চুরির ঘটনার মূলহোতাসহ ৫ জন গ্রেফতার

কেশবপুর

যশোরে বাজার চুরির ঘটনার মূলহোতাসহ ৫ জন গ্রেফতার

 

এইচ এম জুয়েল রানা স্টাফ রিপোর্টার: যশোরের কেশবপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলার হাসানপুর ইউনিয়নের কপোতাক্ষ নদীর তীরে অবস্থিত শুড়িঘাটা বাজারে ফারুক স্টোর নামক মুদির দোকানে চুরির ঘটনার মূলহোতাসহ ৫জনকে গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার (৬ মে) বিকেলে সাতক্ষীরা জেলার পাটকেলঘাটা থানার গনেশপুর গ্রাম থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

থানা সূত্রে জানা গেছে, যশোরের কেশবপুর উপজেলার হাসানপুর ইউনিয়নের শুড়িঘাটা বাজারের মুদি ব্যবসায়ী ফারুক হোসেনের “ফারুক স্টোর” নামক দোকানে গতবুধবার (০৪ মে) গভীর রাতে কে বা কারা দোকানের ছাউনির ৩টা টালী খুলে দোকানের ভেতরে প্রবেশ করে ক্যাশ ড্রয়ারের তালা ভেঙ্গে নগদ ১’লক্ষ ৫৫’হাজার টাকা ও শোকেস এর ভিতর থেকে দুই কার্টুন বেনসন সিগারেট, তিন কার্টুন ডারবি, পাঁচ কার্টুন শেখ ও দুই কার্টুন নেভী সিগারেট চুরি করে নিয়ে যায়। দোকানে সিসি ক্যামেরায় থাকায় চুরির ঘটনা ধারণ হয়েছে। চুরির ঘটনা উল্লেখ করে দোকান মালিক ফারুক হোসেন বাদী হয়ে শুক্রবার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। থানার মামলা নং-২।

মামলার প্রেক্ষিতে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ বোরহান উদ্দীন এর দিক-নির্দেশনায় শুক্রবার বিকেলে উপ-পরিদর্শক মাহাফুজার রহমান ও তৌহিদুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সাতক্ষীরা জেলার পাটকেলঘাটা থানা পুলিশের সহযোগিতায় গনেশপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে মূলহোতাসহ চোরচক্রকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত চুরির মূলহোতা আসামি হলো গনেশপুর গ্রামের জাফর আলী গাজীর ছেলে আশরাফুল গাজী মনা (১৬), এর আগেও তার নামে পাটকেলঘাটা থানায় চুরির মামলা রয়েছে। অপর আসামিরা হলো একই গ্রামের মফিজুল ইসলাম গাজীর ছেলে রাকিব হাসান রকি (১৬), কাসেম আলী গাজীর ছেলে ইব্রাহিম হোসেন (১৬), সিরাজুল ইসলাম গাজীর ছেলে আবু মুছা (১৬) এবং মোঃ আলিম সরদারের ছেলে খায়রুল বাসার (১৬)।

এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ বোরহান উদ্দিন বলেন, শুড়িঘাটা বাজারে মুদির দোকান চুরির ঘটনায় মূলহোতাসহ ৫জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের শনিবার সকালে যশোর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী কপোতাক্ষ নদীর তীরে অবস্থিত গ্রামীণ এই বাজারের ব্যবসায়ীদের জান ও মালামালের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে জোড়ালো দাবী জানিয়েছেন।

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *