Type to search

ময়মনসিংহয়ে নতুন করে ১১ চিকিৎসকসহ মোট ৩৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত

জাতীয়

ময়মনসিংহয়ে নতুন করে ১১ চিকিৎসকসহ মোট ৩৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত

অপরাজেয় বাংলা ডেক্ম: ময়মনসিংহয়ের তিন জেলায় নতুন করে ১১ চিকিৎসকসহ মোট ৩৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন।

আক্রান্তদের মধ্যে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৬ জন, মুক্তাগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন, জামালপুর সদর হাসপাতালের ২ জন এবং নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ২ জন চিকিৎসক রয়েছেন।

এ ছাড়া ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৯ জন নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী, মুক্তাগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৬ জন নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী, জামালপুর সদর হাসপাতালের ৫ জন নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী, নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ২ জন নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের করোনা হওয়ায় অন্যান্য কর্মকর্তা, কর্মচারী, রোগী ও তাদের স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

ময়মনসিংহ জেলা সিভিল সার্জন ডা. এবিএম মসিউল আলম জানান, শেরপুর জেলার নকলা থেকে করোনা আক্রান্ত এক অন্তঃসত্ত্বা নারী তথ্য গোপন করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চারদিন আগে ভর্তি হন। তার চিকিৎসা দিতে গিয়ে হাসপাতালের ওয়ান স্টপ সার্ভিস, গাইনি বিভাগ, ডায়ালাইসিস বিভাগ ও আইসিইউতে কর্মরতদের মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বর্তমানে ওই নারী এসকে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।

হাসপাতালের উপপরিচালক লক্ষী নারায়ণ মজুমদার জানান, করোনা ছড়িয়ে পড়ার আতঙ্কে আছেন হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে সেবা দেওয়া চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থকর্মীরা। সবার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হচ্ছে এবং তাদের কোয়ারেন্টিনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

লক্ষী নারায়ণ আরও জানান, অন্তঃসত্ত্বা ওই নারী ভর্তি হওয়ার পর তার করোনা ধরা পড়ায় হাসপাতালের গাইনি বিভাগের একাংশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বন্ধ করা হয়েছে গাইনি বিভাগের একটি অপারেশন থিয়েটারও। বন্ধ করা হয়েছে আরও দুটি বাভাগ। সব মিলিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্স সংকট দেখা দেবে।

এদিকে ময়মনসিংহ বিভাগে আক্রান্তের মধ্যে সদরে-২৯, গফরগাঁয়ে-১০, ঈশ্বরগঞ্জে-৭, মুক্তাগাছায়-৪, ফুলপুর-৩, হালুয়াঘাট-২, নান্দাইলে-২, ভালুকা, ফুলবাড়ীয়া ও ত্রিশালে একজন করে রয়েছেন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে ফুলপুর ও ত্রিশালে দুজন মারা গেছেন। এ ছাড়া জামালপুর জেলায় ৩৫ জন, নেত্রকোনা জেলায় ৩৩ জন এবং শেরপুর জেলায় ২৪ জন রয়েছে।