Type to search

মাস্ক ছাড়া স্কুল-কলেজে প্রবেশ নয়, হবে না অ্যাসেম্বলি

শিক্ষা

মাস্ক ছাড়া স্কুল-কলেজে প্রবেশ নয়, হবে না অ্যাসেম্বলি

অপরাজেয়বাংলা ডেক্স: আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল-কলেজ খোলার পর মাস্ক পরিধান ছাড়া কেউ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। এছাড়া শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে স্কুল-কলেজে প্রত্যাহিক সমাবেশ বা অ্যাসেম্বলি আপাতত বন্ধ থাকবে।

দীপু মনি বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যখন শিক্ষার্থীরা আসবেন যত ধরনের গাইডলাইনস, স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর যা যা আমরা হালনাগাদ করেছি, সেগুলোর ভিত্তিতে শিক্ষকরা, সেখান ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যারা জড়িত তারা সবাই তা নিশ্চিত করবেন। প্রতিদিন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর তাপমাত্রা মাপা এবং তাদের অন্যান্য উপসর্গ আছে কিনা সেটি চেক করাতে হবে। ’

তিনি বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ক্লাসরুমের মধ্যে যে বিষয়গুলো মানা দরকার- সবার মাস্ক আছে কিনা? মাস্ক পরিধান করা ছাড়া কেউ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঢুকবেন না। কাজেই অভিভাবকদের একটা বড় ভূমিকা রয়েছে, তারা তাদের সন্তানদের মাস্কটি দিয়ে দেবেন। যেন শিক্ষার্থীরা মাস্কটি বাসা থেকেই পরে স্কুলে আসে। তারা বাসায় ফিরে যাওয়া পর্যন্ত যেন মাস্ক পরে থাকে। ’

‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে অবশ্যই সবার মাস্ক পড়তে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। খুব ছোট বা কম বয়সী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে শিক্ষকরা খেয়াল রাখবেন, যাতে কারও অসুবিধা হয় কিনা। কোনো শিক্ষার্থীর যদি মাস্কের কারণে কোনো অসুবিধা হয় কিনা…সেই বিষয়গুলো শিক্ষকরা প্রাইমারি পর্যায়ে অবশ্যই দেখবেন। ’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘(মাস্কের কারণে সমস্যা) মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী তো সমস্যা হলে নিজেই বলতে পারবে। কিন্তু ক্লাস ওয়ান থেকে ফাইভের বাচ্চা নিজে নাও বলার মতো অবস্থায় থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে শিক্ষকরা সেই দিকে নজর রাখবেন। আমাদের স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর ও গাইডলাইনসের মধ্যে এ বিষয়গুলো থাকবে। ’

সবাই যেন সারিবদ্ধভাবে স্কুলে বা ক্লাসের ভেতরে প্রবেশ এবং বের হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। হাত ধোয়ার জন্য বা হাত স্যানিটাইজ করার জন্য সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ব্যবস্থা করা আছে। শিক্ষক-অভিভাবকদের নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হবে। কারো উপসর্গ থাকলে তার না আসাও নিশ্চিত করতে হবে।

প্রত্যাহিক সমাবেশ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের অ্যাসেম্বলি হবে না কোথাও। সকাল বেলা সমাবেশ হয়, সেই সমাবেশটি আপাতত হবে না যতক্ষণ না স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যেতে না পারি। কিন্তু শরীর চর্চা বা খেলাধুলা স্বল্প পরিসরে কম সংখ্যক শিক্ষার্থী নিয়ে শিক্ষকদের তত্ব্বাবধানে চালু রাখা হবে।সূত্র, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম