Type to search

মনিরামপুর পৌর নির্বাচন মেয়র পদে দু’দলের জনপ্রিয় দু’নেতার ভোটযুদ্ধ জমে উঠেছে

মনিরামপুর

মনিরামপুর পৌর নির্বাচন মেয়র পদে দু’দলের জনপ্রিয় দু’নেতার ভোটযুদ্ধ জমে উঠেছে

 

জি, এম ফারুক আলম : যশোরের মনিরামপুর পৌরসভার মেয়র পদে দু’দলের শীর্ষ দু’নেতা প্রার্থী হয়ে ভোটযুদ্ধে নেমে পড়েছেন। মেয়র পদ ছাড়াও ৯টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীরাও ভোটের আমেজ জেগে তুলেছে পাড়া মহল্লায় ও গ্রামাঞ্চলে। মনিরামপুর পৌর এলাকায় যেন সবখানেই ঢেকে ফেলেছে পোস্টারে পোস্টারে। প্রচার-মাইক যেন মানুষের ক্লান্তি বাড়িয়ে দিচ্ছেন প্রচার যন্ত্রবাজিয়ে।
আগামী ৩০শে জানুয়ারীর ভোট অনুষ্ঠিত হবে। দিন-ক্ষণ সামনে বেশ সময় থাকলেও প্রচার প্রচারণায় যেন হাঁপিয়ে পড়েছেন প্রার্থীরা। শীত উপেক্ষা করে প্রার্থীরা বাড়ি বাড়ি ভোট প্রার্থনা করছেন ভোটারদের কাছে। তবে প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরিও কম দিচ্ছেন প্রার্থীরা। উৎসবমুখর পরিবেশ থাকলেও এক শ্রেণীর ভোটারদের মাঝে শংঙ্কা তো আছেই। তাদের প্রশ্ন শেষ পর্যন্ত ভোট দিতে আদৌ যেতে পারবেন কিনা ভোটের মাঠে সে সংঙ্কা বিরাজ করছে তাদের মাঝে।
পৌরসভার মেয়র পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান মেয়র আলহাজ্ব কাজী মাহমুদুল হাসান নৌকা প্রতীক নিয়ে এবারও প্রার্থী হয়ে ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন, ভোট প্রার্থনা করছেন। কাজী মাহমুদুল হাসান শুধু একাই নয়, তার দলের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ফারুক হোসেনসহ সকল শ্রেণীর নেতারাই একতা বদ্ধ হয়ে ভোটের মাঠে নেমেছেন।
তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী হিসেবে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট শহীদ মো. ইকবাল হোসেনও বসে নেই। তিনিও দিন-রাত যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। তার দলের নেতা-কর্মীরাও চেষ্টা করছেন সমান তালে। এরআগে এ পৌরসভার টানা দু’বার মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন জনপ্রিয় এ নেতা। দু’দলের জনপ্রিয় শীর্ষ এ দু’নেতার ভোটের লড়াই নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে সাধারণ ভোটারদের মাঝে।
এর বাইরেও মেয়র প্রার্থী আছেন ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের মো. আবু তালেব। মেয়র পদের এ প্রার্থী আবু তালেব প্রার্থী হলেও নির্বাচনী মাঠে যেন প্রচার প্রচারণায় অন্য প্রার্থীদের চেয়ে পিছে পড়েছেন।
সম্প্রতি বিএনপি দলীয় প্রার্থীর ধানের শীর্ষের পোস্টার ছেড়ার ঘটনা নিয়ে উত্তপ্ত সৃষ্টি হয়। ঘটনার পর জনপ্রিয় এ দু’প্রার্থী পৃথক ভাবে প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন। মতবিনিময় কালে তিনি অনাকাঙ্খিত এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ঘটনা যেই করুক কোন দলের কাছে সেটি কাম্য নয়। মনিরামপুরবাসী চাই একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন, সেটি করতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা থাকবে।
অপরদিকে, সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট শহীদ মো. ইকবাল হোসেন শংঙ্কার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, যত বাঁধাই আসুক বিএনপি ভোটের মাঠে আছে এবং শেষ পর্যন্ত থাকবে। জনগণ যাতে বাঁধাহীন ভাবে ভোট কেন্দ্রে আসতে পারেন এবং তারা ভোট দিতে পারেন সে প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করেন তিনি।
এর বাইরেও ৯টি ওয়ার্ডে (পুরুষ) ৩৩ জন কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়ে লড়ছেন। ৯টি ওয়ার্ডে এ ৩৩ জন পুরুষ প্রার্থীর মধ্যে বেশির ভাগই প্রার্থী হচ্ছেন সরকার দলীয় সমর্থকরা। কাউন্সিলর পদে বিএনপি দলীয় প্রার্থী থাকলেও জনগণের কাছে তাদের ভোট প্রার্থনা যেন এক্কেবারেই নিরবে। তবে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছেন কাউন্সিলর পদে সরকার দলীয় প্রার্থীর। প্রচার-প্রচারণায় পিছিয়ে নেই সংরক্ষিত পদে নারী প্রার্থীরাও। ১৫ জন নারী প্রার্থী ৩টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের জন্য লড়ছেন তারা।
আগামী ৩০শে জানুয়ারী ভোটের মাধ্যমে পৌর এলাকায় ২১ হাজার ৯৬৫ ভোটার তাদের ভোটের মাধ্যমে পছন্দের নেতা নির্বাচন করবেন। নির্বাচন নিয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাচন অফিসার সহিদুর রহমান জানান, পৌর নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে কোন অবস্থাতেই চেষ্টার কমতি থাকবে না সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তাদের।