Type to search

ভুয়া ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ

জাতীয়

ভুয়া ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ

অপরাজেয়বাংলা ডেক্স: ১৯৭৩ সালের এদিন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভুয়া ব্যবসায়ী, ভুয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং ভুয়া শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাণিজ্য দফতরের প্রতি পৃথক পৃথক নির্দেশ দিয়েছেন। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানের নামে ১৫ ’শ লাইসেন্স ইস্যু হওয়ার খবরের পর প্রধানমন্ত্রী ভুয়া ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠান এবং ভুয়া শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাণিজ্য দফতরের প্রতি নির্দেশ দেন।

পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, সেসব ব্যক্তির সুপারিশে এবং যেসব সরকারি কর্মচারীর তদন্ত রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে লাইসেন্স ইস্যু করা হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রী বাণিজ্য দফতরের প্রতি নির্দেশ জারি করেন।

যাদের সুপারিশে এবং যাদের তদন্ত রিপোর্টে ভুয়া শিল্প প্রতিষ্ঠানকে শিল্পের জন্য কাঁচামাল আমদানির লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু বাণিজ্য দফতরকে পৃথকভাবে আরেকটি নির্দেশ দেন।

তাতে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ কার্যকর করার কাজে তদারকি ও তদন্তে বাণিজ্য দফতরকে সহযোগিতা করবে দুর্নীতি দমন ব্যুরো। একইভাবে দুর্নীতি দমন ব্যুরোও বাণিজ্য দফতরকে সহযোগিতা করবে বলে জানানো হয়।image0 (39)

বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে এম আর সিদ্দিকীর সাক্ষাৎ

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হিসেবে বিদেশ সফরের পর এমআর সিদ্দিকী গণভবনে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সফরকালে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা সম্পর্কে তিনি অবহিত করেন।

এনা জানায়, প্রধানমন্ত্রীকে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক বাংলাদেশের খাদ্য সরবরাহের আশ্বাস সম্পর্কে অবহিত করেন সিদ্দিকী। তিনি প্রেসিডেন্ট নিক্সন ও মার্কিন সরকারের অন্যান্য নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং উপমহাদেশ সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় এবং বাংলাদেশের খাদ্য ঘাটতি সম্পর্কে আলোচনা করেন।

এইদিন বিশেষ দূত দেশে ফিরে আসেন এবং যেসব দেশে সফর করেন সেখানে ভারত-বাংলাদেশ যুক্ত ঘোষণা সম্পর্কে অনুকূল সাড়া পাওয়া গেছে বলেও প্রধানমন্ত্রীকে জানান।

image2 (29)নোয়াখালীর ঘটনায় তদন্তের আশ্বাস স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

নোয়াখালীর সামগ্রিক পরিস্থিতি দ্বিতীয় দিনে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হয়। ৮ জুনের অনভিপ্রেত ঘটনার পর আর কোনও অবাঞ্ছিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়নি। সকল হাট-বাজার খোলা রয়েছে এবং শহরের জীবনযাত্রাও স্বাভাবিক হয়েছে।

এদিকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মালেক উকিল আহতদের দেখার জন্য হাসপাতালে যান এবং তিনি তাদের সম্পর্কে খোঁজখবর নেন ও যথাযথ যত্ন নেওয়ার নির্দেশ দেন। মন্ত্রী আব্দুল মালেক উকিল সেখানে এক জনসভায় বক্তৃতা করেন। বক্তব্যদানকালে সেদিনের ঘটনা তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠনের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

ছাত্রদের শিক্ষা কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশ

ছাত্র সমাজের উদ্যোগে গঠিত শিক্ষা কমিশনের রিপোর্টে উপনিবেশিক আমলের শিক্ষানীতি পরিবর্তন করে স্বল্পমেয়াদী ক্লাস প্রোগ্রামের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নতুন শিক্ষানীতি প্রণয়ন, কৃষি শিক্ষার ব্যাপক প্রসার, ছাত্রদের বাধ্যতামূলক সামরিক শিক্ষা, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া এ সমস্ত শিক্ষা ব্যবস্থাকে সাধারণ শিক্ষা, কৃষি শিক্ষা, শ্রম শিক্ষা, কারিগরি শিক্ষা, চিকিৎসা শিক্ষা ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় ভাগ করে নতুন শিক্ষানীতি প্রণয়ন করারও সুপারিশ করা হয়।

এই দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের একটি অনুষ্ঠানে এই রিপোর্ট পেশ করা হয়। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যৌথভাবে শিক্ষা কমিশন গঠন করে দীর্ঘ এক মাস বিভিন্ন দেশের- বিশেষ করে সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোর শিক্ষানীতি নিয়ে আলোচনা করে এ রিপোর্ট তৈরি করে।সূত্র,বাংলা ট্রিবিউন