Type to search

ভবদহে সেচ প্রকল্প চালুতে নদী মরে নালাতে পরিণত

যশোর

ভবদহে সেচ প্রকল্প চালুতে নদী মরে নালাতে পরিণত

প্রিয়ব্রত ধর,নওয়াপাড়া (পৌর) প্রতিনিধি:

অভয়নগর উপজেলার ভবানিপুর গ্রামের ভবদহ নামকস্থানে শ্রী নদীর উপর ২১ ভেন্ট, ৯ ভেন্ট ও ৬ ভেন্টের স্লুইসগেট অবস্থিত। বর্তমানে ভবদহকে যশোরের দুঃখ বলা হয়ে থাকে। যশোর জেলার মণিরামপুর, কেশবপুর ও অভয়নগর, সদর উপজেলা, খুলনার ফুলতলা, ডুমুরিয়ামুক্তেশ্বরী-টেকা-শ্রী-হরি ও আপারভদ্রা-হরিহর-বুড়িভদ্রা নদী দিয়ে বেষ্টিত। গত ৩ বছর আগেও ভবদহ সুইটগেট হতে শিপসা নদী হয়ে বড় বড় মাছ ধরা ট্রলার চলাচল করতে পারতো। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভূল সিন্ধান্তে ভবদহের সুইচ গেট বন্ধ করে সেখানে মোটর ব্যবহার করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়। ফলে জোয়ারের সাথে আসা পলি নদীতেই থেকে যায় বলে দাবী ভুক্ত ভোগী মানুষের।

সরেজমিনে কয়েকদিন আগে নদী ঘুরে দেখা যায় ২১ গেটের উপর ১৩ টি এবং ৯ গেটের উপর ৫টি মোটরপাম্প চালু রয়েছে। আর নদী খনন করে সে মাটি নদীর ভেতরেই রাখা হয়েছে। ফলে নদী পরিণত হয়েছে নালাতে। ৯ গেটের সামনে দেখা যায় নদীর তলদেশ শুকিয়ে উচু হয়ে আছে,কোন প্রকারে নালা দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। কপালিয়া ব্রিজের কাছে দেখা যায় নদীর প্রস্ত ৫-৬ ফিট। মনে হয় লাফিয়ে পার হওয়া সম্ভব। নদীর গভীরতা আছে ৩/৪ ফিট। যেখানে বর্ষা মৌসুমের পানিতে পরিপূর্ণ থাকার কথা। সাথে সাথে নদীর পাশে পলি জমে থাকা স্থান দখল হতে শুরু হয়েছে মাছ চাষ। অনেকেই নদীর ভিতরেই জাইগা দখল করে মৎস্য ঘের স্থাপন করেছে স্থায়ী ভাবে। ডুমুরতলা গ্রামের শিবপদ বিশ্বাস জানান ভবদহের জলাবদ্ধতার সমাধান হলে বাবুদের ভোট কম হয়ে যাবে, তারা প্রতি বছর জলাবদ্ধতার সমাধানের দোহায় দিয়ে ভোট চাইতে পারবে না। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির সদস্য সচিব চৈতন্য কুমার পাল বলেন টি আর এম বন্দ করার কারণে নদী মরে নালাতে পরিণত হচ্ছে। আহবায়ক রনজিত বাওয়ালী বলেন, রাজনৈতিক ও আমলাদের ষড়যন্ত্রে, পানি উন্নয়ন বোর্ড এ জনপদকে জলাভুমিতে রুপান্তরিত করার চেষ্টা করছে। ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির উপদেষ্টা ইকবাল কবীর জাহিদ জানান টি আর এম ছাড়া বিকল্প কোন উপায়ে ভবদহের জলাবদ্ধতার সমাধান সম্ভব না। যত দ্রুত সম্ভব টি আর এম চালুর মধ্য দিয়ে ভবদহে নদী আবার ফিরিয়ে আনা সম্ভব।