Type to search

ভবদহের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তির লক্ষ্যে ৫ উপজেলা থেকে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি প্রদান

অভয়নগর

ভবদহের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তির লক্ষ্যে ৫ উপজেলা থেকে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি প্রদান

প্রিয়ব্রত ধর:
যশোর জেলার যশোর সদর, অভয়নগর, মনিরামপুর,কেশবপুরসহ মোট ৪টি ও খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার দশ লক্ষাধিক মানুষ ভবদহ স্লুইসগেটের অকার্যকারীতার জন্য প্রায় চার দশক ধরে কমবেশি স্থায়ীভাবে জলাবদ্ধ হয়ে বসবাস করছে। এই সুদীর্ঘকাল ধরে জলাবদ্ধ থাকার ফলে শিক্ষা,চিকিৎসা, বাসাস্থান,যোগাযোগ, পয়ঃনিষ্কাশন, পশুখাদ্য, শিশু ও নাগরিক অধিকারসহ অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙে পড়েছে। ফলে দীর্ঘদিন ধরে ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটি স্থানীয় জনগণকে নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করলেও স্থায়ী জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তির জন্য সঠিক আলোর দিশারি খুঁজে পায়নি।
আর তাই আজ ৯ নভেম্বর -২০২১ রোজ মঙ্গলবার সকাল ১১ ঘটিকায় স্থানীয় ভুক্তভোগী জনগণকে সাথে নিয়ে  যশোর সদর, অভয়নগর, মণিরামপুর, কেশবপুর ও খুলনার ডুমুরিয়াসহ ৫ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বরাবর একযোগে  স্মারকলিপি প্রদান করেন ভবদহ পানি নিস্কাশন সংগ্রাম কমিটির নেতৃবৃন্দ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভবদহ পানি নিস্কাশন সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক রনজিৎ বাওয়ালী, উপদেষ্টা ইকবাল কবীর জাহিদ, যুগ্ম আহবায়ক কাজী আব্দুল হামিদ, সদস্য সচিব চৈতন্য কুমার পাল,শিক্ষক শিবুপদ বিশ্বাস, ভগিরথ হালদার,মানব মন্ডল, পারভীন বেগম, শেখর বিশ্বাস, রাজু আহমেদ, আঃ আজিজসহ কয়েক শতাধিক ভুক্তভোগী।
স্মারকলিপিতে ভবদহ পানি নিস্কাশন সংগ্রাম কমিটির নেতৃবৃন্দ দাবি করেন, ১.রাজনৈতিক দূর্বৃত্তায়ন,  ২.ঘেরমালিকদের সাথে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রীর  যোগসাজশে সিন্ডিকেট গড়ে তুলে লাখ লাখ মানুষকে জিম্মি করে প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা লুটপাটের স্থায়ী ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভবদহ স্লুইচ গেটকে ‘ সোনার ডিম পাড়া হাঁস’ উল্লেখ করে নেতৃবৃন্দ দাবি করেন, ভবদহ  স্লুইচ গেটের কোন কার্যকারিতা নেই। ফলে এই  স্লুইচ গেটের কারণে এ অঞ্চলে স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে ।
 স্মারকলিপিতে পাঁচ দফা দাবি পেশ করেছেন। দাবিগুলো হলো- ১.এখনই বাড়ি ঘরের পানি নামানোর জন্য ২১ ভেন্টের সকল কপাট খুলে দিতে হবে। ভাটিতে ৭-৮ কি.মি. নদীতে চ্যানেল কাটতে হবে,২.অবিলম্বে বিল কপালিয়ায় টিআরএম প্রকল্প গ্রহন ও হরি শ্রী নদী ভরাট হয়ে যাওয়া পলি অঅপসারণ করতে হবে।৩.জমি অধিগ্রহন করে আমডাঙ্গা খাল গভীর ও প্রশ্বস্থ করতে হবে। আমডাঙ্গা খালের উপর অবস্থিত স্লুইচ গেটের  দুইপাশে স্থায়ী টেকসই প্রাচীর নির্মাণ করতে হবে এবং ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবংলুটপাটের লক্ষে প্রস্তাবিত ৫০ কোটি টাকার সেচ প্রকল্প বাতিল করতে হবে,৪.ভবদহ এলাকায় বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতি, অনিয়ম ও বিল কপালিয়ায় টিআরএম করার সরকারি সিদ্ধান্ত বানচালকারীদের বিচার করতে হবে ও ৫. নদ- নদী,খাল খননসহ সমগ্র কাজ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধায়নে কার্যকর করতে হবে এবং ভবদহ আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত সংগঠনগুলোকে কাজ মনিটরিংয়ের সুযোগ দিতে হবে।
Attachments area