Type to search

বিএনপি কে ধন্যবাদ জনিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

জাতীয়

বিএনপি কে ধন্যবাদ জনিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

অপরাজেয় বাংলা-লন্ডন সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, অনেক দেরিতে হলেও বিএনপি নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছে। তবে নির্বাচনের প্রতি বিএনপির অনীহাই তাদের ভরাডুবির মূল কারণ ছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গতকাল শনিবার যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৪৪তম শাহদাত বার্ষিকীর শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেয়েছিল আর তাই তারা মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে, একটি আসনে ৫/৬ জনকে পর্যন্ত মনোনয়ন দিয়েছে। ৩০০ আসনে ৬০০’র ওপরে প্রার্থীকে তারা মনোনয়ন দিয়েছিল। তাই নির্বাচনে এমন ভরাডুবি হয়েছে তাদের।’
‘তবে একটি দল হিসেবে যা যা প্রাপ্য, সংসদে বিএনপিকে দিয়েছি আমরা। গুরুত্বপূর্ণ কমিটিগুলোতে তাদের সদস্যদের স্থান দিয়েছি’ বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
সম্প্রতি দেশের ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রশাসন ছাড়াও তাঁর দলীয় কর্মীরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নিয়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধে মাঠে রয়েছেন।
১৫ আগস্টের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘৩৯ বছর আগে জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়েই আমি দেশে ফিরেছিলাম। জাতির জনকের হত্যার বিচারের দাবিতে ৩৯ বছর আগে ১৯৮০ সালের ১৬ আগস্ট লন্ডনের ইয়র্ক হলে আমি প্রথম বক্তব্য রেখেছিলাম। যদিও ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘১৯৮১ সালে লন্ডনে বসে দলের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার সংবাদ পাই। যে মাটিতে শুধু কবর আর কবর, আমি মৃত্যুকে হাতে নিয়ে বাংলাদেশে ফিরেছিলাম। আমার মনে হয়েছিল এইসব হত্যাকাণ্ডের বিচার না হলে বাংলাদেশ অভিশাপ মুক্ত হবে না। স্বজন হারানোর কষ্ট নিয়ে ফিরেছিলাম, কিন্তু লাখো মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি।’
‘আমার পাওয়ার কিছু নেই। হারাবারও কিছু নেই। শুধু বাবার আদর্শ ও আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ করে যাব। ’৯৬ সালে যখন ইনডেমিনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করি সমালোচনা করেছিলেন, বলেছিলেন আমি প্রতিশোধ নিচ্ছি। বিএনপি সেদিন খুনীদের রক্ষা করতে হরতাল ডেকেছিল। বিচারপতির পরিবারের ওপর হামলা হয়েছিল। একজন সাধারণ মানুষের হত্যার বিচার যেভাবে হয়, জাতির জনক হত্যার বিচারও সেভাবেই হয়েছে।’
নিজের অসুস্থতা নিয়ে নানা গুজবের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘যতক্ষণ দেহে প্রাণ আছে দেশের জন্য কাজ করে যাবো। আমার চোখের অপারেশন ঢাকায় কেউ করতে চায়নি। তাই লন্ডনে আসতে হয়েছে। আগের বার চিকিৎসা করে খুব তাড়াহুড়ো করে ফিরে গিয়েছিলাম। তাই বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছিল।’
৫ তারিখে চোখ পুনঃপরীক্ষা করার কথা রয়েছে। এরপরই ৭ আগস্ট দেশে ফিরবেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।