Type to search

বাজেট: করোনার ক্ষতি কাটাতে শিক্ষায় সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়ার দাবি

অর্থনীতি

বাজেট: করোনার ক্ষতি কাটাতে শিক্ষায় সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়ার দাবি

অপরাজেয়বাংলা ডেক্স: করোনার কারণে দেশের শিক্ষাখাতে যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে, আসছে বাজেটের বরাদ্দে তার প্রতিফলন থাকতে হবে। অন্যান্য বছর হেলাফেলা করলেও এ বছর শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে বরাদ্দ দাবি করেছেন শিক্ষাবিদ ও শিক্ষকরা।

টাকার অঙ্কে প্রতিবছরই কয়েক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়ে শিক্ষাখাতে। কিন্তু মোট বাজেটের অনুপাতে প্রতিবছরই কমে।

করোনা অতিমারীর কারণে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ১৪ মাস ধরে। অ্যাসাইনমেন্ট, টিভি, অনলাইনসহ বিভিন্ন উপায়ে চেষ্টা করা হয়েছে শিক্ষাকে এগিয়ে নেয়ার। লাভের লাভ তেমন কিছুই হয়নি। শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা এ অবস্থাকে মহাবিপর্যয় বলে আখ্যা দিচ্ছেন। গেল বছর বাজেটে করোনার ক্ষতিকে মাথায় রেখে বাজেটে বরাদ্দ রাখার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে তার প্রতিফলন মেলেনি। বন্ধ হয়ে গেছে অনেক বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বেকার হয়েছেন অনেক শিক্ষক কর্মচারি।

জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর পরামর্শ অনুযায়ী, একটি দেশের শিক্ষা বরাদ্দ জাতীয় বাজেটের ন্যূনতম ২০ শতাংশ হওয়া জরুরি। যা হবে জিডিপির আকারের ৬ শতাংশ। অথচ দেশের বাজেটে তা কখনই মানা হয়না। গেল চার অর্থবছরে শিক্ষাখাতে বরাদ্দের হিসেব কষলে দেখা যায় টাকার অঙ্কে বরাদ্দ বাড়লেও আনুপাতিক হারে উল্টো কমছে।

২০১৭-১৮ অর্থবছরে শিক্ষায় বরাদ্দ ছিল ৪৩ হাজার ৬২৯ কোটি টাকা। যা মোট বাজেটের ১৩.২৪ শতাংশ। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বরাদ্দ বাড়লেও মোট বাজেটের আনুপাতিক হারে তা কমে দাঁড়ায় ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশে। ২০১৯-২০ অর্থবছরেও টাকার অঙ্কে বাড়লেও আনুপাতিক হারে আরো কমে দাঁড়ায় ১১ দশমিক ৬৮ শতাংশে। আর চলতি অর্থবছরে করোনা মহামারীর মধ্যেও শিক্ষায় আগের বছরের তুলনায় বাড়ে মাত্র শূন্য দশমিক শূন্য এক শতাংশ।

আগামী অর্থবছরেও বাজেটে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়বে, কিন্তু তা মোট বাজেটের তুলনায় কত শতাংশ হবে সেটি নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই। শিক্ষাবিদরা বলছেন মহামারির অপূরণীয় ক্ষতি পোষাতে শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বরাদ্দ দেয়ার কোন বিকল্প নেই।

গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধূরী বলেন, ‘করোনা মহামারীর নেতিবাচক প্রভাবগুলো বিবেচনায় নিয়ে যথাযথ বাজেট বরাদ্ধ প্রয়োজন, একটি প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায়। আবার সেই প্রণোদনা প্যাকেজ যেন যথাযথভাবে ব্যবহৃত হয় তার জন্য মনিটরিং নিশ্চিত করতে হবে।’

শিক্ষক নেতাদের দাবি, করোনায় শিক্ষার যে যে ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে তা বিবেচনায় নিয়ে সুস্পষ্টভাবে বরাদ্দ দিতে হবে আসছে বাজেটে।

স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু বলেন, ‘যে সমস্থ শিক্ষার্থীরা ঝরে গিয়েছে তাদেরকে আর্থিক প্রণোদনার মাধ্যমে হলেও ফিরিয়ে আনতে হবে। তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিতে হবে।’

তবে শুধু বরাদ্দ বাড়ানোই নয়, সেটার গুণগত ব্যয় হওয়ার বিষয়টিতেও সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়ার পরামর্শ শিক্ষা সংশ্লিষ্টদের।সূত্র,ডিবিসি নিউজ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Next Up