Type to search

বাজেটে প্রবৃদ্ধির চেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে মানুষের জীবন

অর্থনীতি জাতীয়

বাজেটে প্রবৃদ্ধির চেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে মানুষের জীবন

অপরাজেয়বাংলা ডেক্স : ৬ লাখ ৩ হাজার ৬শ’ ৮১ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী।  

কিন্তু এই খরচের ৬৫ শতাংশ অর্থ, আয়ের ব্যবস্থা করা গেছে। বাকি ৩৫ শতাংশ টাকা সরকারকে ধার করতে হবে। আর এর ফলে, দেশের ৫০ তম বাজেটে এসে প্রথমবারের মতো জিডিপির ৬ শতাংশের বেশি ঘাটতিতে থাকতে হচ্ছে সরকারকে।

করোনা মহামারী ভোগাবে আগামী অর্থবছরের পুরোটা সময়। বাজেট তৈরিতে এমন বিবেচনাই সামনে রেখেছে  অর্থমন্ত্রণালয়। তাই প্রবৃদ্ধির চেয়ে মানুষের জীবন বেশি গুরুত্ব পেয়েছে অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাবিত বাজেটে। প্রতিপাদ্যও তাই, জীবন ও জীবিকার প্রাধান্য-আগামীর বাংলাদেশ।

অর্থমন্ত্রী এবার যে বাজেট ঘোষণা করবেন তার সম্ভাব্য আকার হচ্ছে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। বিপরীতে আয়ের সংস্থান করতে পেরেছেন ৩ লাখ ৯২ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা।  যার মধ্যে এনবিআরকে আদায় করতে হবে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার ট্যাক্স-ভ্যাট। এনবিআর এর বাইরের কর থেকে ১৬ হাজার কোটি টাকা পাওয়ার আশা করছেন অর্থমন্ত্রী। আর কর ব্যতিত প্রাপ্তির লক্ষ্য ৪৩ হাজার টাকা। বাজেটে ৩৪৯০ কোটি টাকা ধরা হয়েছে বিদেশি অনুদান।

রাজস্ব আয়ের সব অনুমান ঠিকঠাক থাকলেও, ঘাটতি থেকে যাচ্ছে ২ লাখ ১১ হাজার ১৯১ কোটি টাকার।  যা জিডিপির ৬ দশমিক ১ শতাংশ।  বাজেটের ইতিহাসে এটিই সর্বোচ্চ ঘাটতি।

অর্থের সংকট মেটাতে, সরকার ব্যাংক থেকে ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা ধার করতে চায়। বিদেশ থেকে ঋণ নেয়ার ইচ্ছা ৯৭ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা। পরিকল্পনা আছে ৩২ হাজার কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রির।

চলতি অর্থবছর ৬৮ হাজার ৪১৪ কোটি টাকার বিদেশি ঋণ নিয়েছে সরকার।  যার সুদ বাবদ আগামী অর্থবছর ৬ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা গুণতে হবে।  আর দেশীয় ঋণের সুদ পরিশোধ করতে খরচ হবে ৬২ হাজার কোটি টাকা।

বরাবরের মতোই, এবারও সবচেয়ে বেশি খরচ হচ্ছে অনুন্নয়ন ব্যয়ে।  মোট বাজেটের খরচের  প্রায় ৬০ শতাংশই যাচ্ছে  সরকারি কর্মকর্তা-কর্মাচারিদের বেতন ভাতা ও রাষ্ট্র পরিচালনায় ।  ৩৯ শতাংশ খরচ হবে উন্নয়ন ব্যয়ে।সূত্র,ডিবিসি নিউজ