কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত জানান, কলেজের কমিটি নিয়ে বর্তমান সভাপতির সঙ্গে স্থানীয় একটি গ্রুপের দ্বন্দ্ব চলছিলো। এরই জেরে বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত ১টার সময় কয়া ইউনিয়নের যুবলীগ সভাপতি আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে চারজন বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুর করে। বাঘা যতীনের ভাস্কর্যের নাক ও ডান গালের কিছু অংশ ভেঙে ফেলা হয়। নৈশপ্রহরী খলিলুর রহমান এটি দেখে ফেলেন এবং পুলিশের কাছে জবানবন্দিতে এ কথা জানান তিনি।
শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে আনিস, হৃদয় ও সবুজকে গ্রেপ্তার করা হয়। এখনো পলাতক রয়েছে বাচ্চু নামের আরেক যুবলীগ কর্মী। ভাঙচুরের ঘটনায় কুমারখালী থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছেন কলেজের অধ্যক্ষ হারুন উর রশিদ।
এর আগে, গত ৪ ডিসেম্বর (শুক্রবার) রাতের আঁধারে কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। এসময় ভাস্কর্যের মুখ ও হাতের অংশ ভেঙে ফেলা হয়। পরে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চার জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেদিনই ভাস্কর্য ভাঙার ঘটনায় কুষ্টিয়া পৌরসভার সচিব কামাল উদ্দিন মামলা করেন।
সূত্র, DBC বাংলা