Type to search

বসতভিটাসহ রেকর্ড করা জমিতে ড্রেজিং করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড

জেলার সংবাদ

বসতভিটাসহ রেকর্ড করা জমিতে ড্রেজিং করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড

অপরাজেয় বাংলা ডেক্স

ভূঞাপুরের জগতপুরা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান খান। এখানেই ছিলো তাঁর পূর্ব পুরুষদের বসতি। একসময় যমুনায় বিলীন হলেও দেড় দশক আগে চর জেগে উঠায় ফিরে পান হারানো সম্পদ। নদী গতি পথ পাল্টানোয় এখন জগতপুরা মৌজার কয়েক কিলোমিটার দূর দিয়ে বইছে যমুনা। তাই জেগে উঠা চরে গড়ে তোলা হয়েছে বসতি। পুরোদমে চলছে কৃষি কাজও। এঅবস্থায় হঠাৎ ওই এলাকায় ড্রেজিং শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এই চিত্র উপজেলার অর্জুনা ও গাবসারা ইউনিয়নেও।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বালু বিক্রি জন্য অবৈধভাবে উর্বর চরের জমি কাটা হচ্ছে। এর ফলে ভূমিহীন হতে বসেছে হাজার হাজার পরিবার।

তারা বলেন, এসব জমি যদি সরকারি হয়,তাহলে আমাদের কাছ থেকে এসব জমির খাজনা নেয় কেন। নদীর সীমানা আরও চার-পাঁচ কিলোমিটার দূরে কিন্তু তারা শুধু শুধুই আমাদের জমি নিয়ে নিচ্ছে। নদী ভেঙ্গে যদি এসব জমি চলে যায় তাহলে তো আমাদের কিছু করার নেই,কিন্তু তারা আমাদের জমি নিয়ে নদী বানাচ্ছে।

প্রতিকার চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট করেছেন ১২ জন। এরপরেও খনন অব্যাহত থাকায় ক্ষুব্ধ চরাঞ্চলের মানুষ।

টাঙ্গাইল ভূমি রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সমন্বয়ক আব্দুস ছাত্তার খান বলেন, মহামান্য হাইকোর্টকে অবজ্ঞা অবহেলা করে তারা যে ড্রেজিং করছে। আমরা অবিলম্বে এটি বন্ধ করতে বলছি। জনগণের জমি অধিগ্রহণের যে নিয়ম সে অনুযায়ি তাদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হোক।

এদিকে চরের জমি বৈধ প্রক্রিয়ায় বেচা-কেনা হলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে নদী ভাঙার পর সব জমি খাস হয়ে যায়।

টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, সেখানে ব্যক্তি মালিকাধীন কোন জমিই থাকার কথা না। কারণ এটি নদী। কেউ অবৈধভাবে খারিজ করে নিজের নামে করে নিতে পারে।

তদন্ত করে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক আতাউল গনি। তিনি বলেন, এটি যদি আসলেই জনগণের ব্যক্তি মালিকাধীন হয়ে থাকে এবং জোরপূর্বক খনন করা হয় তাহলে আমরা তদন্ত করে সবকিছু যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নিতে আমই নির্দেশনা দিব।

ঠিকাদারের মাধ্যমে প্রায় ২শ ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে যমুনা নদীতে খনন চালাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

সূত্র, DBC বাংলা

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *