নো মাস্ক নো সার্ভিস দেবার কথা বলছে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো। কিন্তু বিভিন্ন স্থানেই বাস্তবায়নে দেখা গেছে শিথিলতা।
করোনা ২য় ধাপ মোকাবেলায় সাধারণ মানুষ অনেকটাই উদাসীন। বেশির ভাগ মানুষই মাস্ক ব্যবহার করছেন না। প্রশাসনের ভয়ে অনেকে মাস্ক সাথে রাখছেন, মুখে নয়।
শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত সপ্তাহে যেখানে ১০জন রোগী ছিল এক সপ্তাহের ব্যবধানে তা দাঁড়িয়েছে ৫৪জনে। এটিকে উদ্বেগজনক বলছে স্বাস্থ্যবিভাগ।
বরিশালের সিভিল সার্জন ডা. মনোয়ার হোসেন বলেন, “স্বাস্থ্য বিধি মানা হচ্ছে না। আমার আহ্বান থাকবে সব যায়গায় সকল মানুষ যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে।”
করোনা আবার বাড়ছে উল্লেখ করে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন সবাইকে স্বাস্থ্যবিবি মেনে চলার পরামর্শ দেন।
জেলা প্রশাসন থেকে বিভিন্ন স্থানেই সচেতনতার ফেস্টুন ব্যানার দিয়ে প্রচার চালানো হচ্ছে। তবে সেই ডাকে সাড়া নেই সাধারণ মানুষের। তাই অভিযান চালিয়ে শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
বরিশালের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আলী সুজা বলেন, “এত অভিযান আর সচেতনতামূলক কার্যক্রমের পরও মানুষের মাস্ক পরিধানে অনিহা। আমরা এজন্য জরিমানাও করছি।”
শীতে মানুষ সচেতন না হলে করোনার ২য় ধাপ প্রথম ধাপের চেয়ে ভয়ানক হতে পারে বলে বার্তা দিচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ ।
সূত্র, DBC বাংলা