Type to search

ফেসবুকে স্টাটাস সাধারণ সম্পাদকের চৌগাছায় এমপির মতবিনিময় সভায় যাননি উপজেলা আ.লীগ সভাপতি-সম্পাদক

চৌগাছা

ফেসবুকে স্টাটাস সাধারণ সম্পাদকের চৌগাছায় এমপির মতবিনিময় সভায় যাননি উপজেলা আ.লীগ সভাপতি-সম্পাদক

 

চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি : যশোরের চৌগাছার ১নং ফুলসারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভায় স্থানীয় সংসদ সদস্য ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব) অধ্যাপক ডাক্তার নাসির উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করলেও সেখানে উপস্থিত ছিলেন না উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম হাবিবুর রহমান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হওয়া ফুলসারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী মাসুদ চৌধুরী। ২০১৮ সালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার আগে মেহেদী মাসুদ চৌধুরী এই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর সেখানে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন সাবেক ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমান ঢালী।
বুধবার বিকেলে ফুলসারা ইউনিয়নের সলুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজনে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউপি সদস্য শের আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব) অধ্যাপক ডাক্তার নাসির উদ্দিন।
উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য প্রভাষক হারুন অর রশীদের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পাতিবিলা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান সহিদুল ইসলাম মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ও নির্বাহী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক ও পুলসারা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসএম সাইফুর রহমান বাবুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য আশরাফুল আলম, নাছিমা খাতুন, নির্বাহী সদস্য ও পৌর কাউন্সিলর সিদ্দিকুর রহমান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ঐক্য পরিষদের আহবায়ক সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুস সালাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য হবিবর রহমান হবি, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ডা. নূর হোসেন, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শরিফুল ইসলাম ও চৌগাছা পৌরসভার প্যানেল মেয়র আনিচুর রহমান আনিচ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক জিয়াউর রহমান রিন্টু, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা ইউপি সদস্য সার্জেন্ট (অব) আবুল কাশেম, আওয়ামী লীগ নেতা প্রভাষক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন ঝিকরগাছা উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম রেজা, ঝিকরগাছার মাগুরা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক, চৌগাছা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক অমেদুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক শামীম রেজা, চৌগাছা পৌরসভার কাউন্সিলর ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি রুহুল আমীন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজু আহাম্মেদ, দপ্তর সম্পাদক হাশেম আলী, সরকারি কলেজ ছাত্র লীগের সভাপতি আশিকুজ্জামান রিংকু, পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি বকুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান সুমন, চৌগাছা সদর ইউনিয়ন স্বেছাসেবকলীগের সভাপতি আবু সাঈদ মানিকসহবিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। বিপুল সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধা ইউনিয়নের
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন আগামী নির্বাচনে আপনাদের সঠিক নেতৃত্ব বেছে নিতে হবে। আশা করি এই ইউনিয়নে আপনারা সঠিক নেতৃত্ব বেছে নেবেন। না হলে আপনারাই সাফার করবেন। আপনারা দশকেজি চাল, ত্রিশ কেজিচাল, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা ঠিকমত পান না। যারা পান তাদের বিভিন্ন উৎকোচ ব্যায়ের বিনিময়ে পান। অনেকেই হয়তো মনে করেন ৭ হাজার টাকা পায়, ২ হাজার টাকা উৎকোচ দিলেও তো ৫ হাজার টাকা আমি পাচ্ছি। এগুলো আপনারা মেনে নেবেন না। তিনি রাস্তা করার নামে, যাদের জমি আছে ঘর নাই তাদের ঘর দেয়ার নামে, বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদরাসায় নিয়োগ দেয়ার নামে অর্থ বাণিজ্যের সমালোচনা করে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের বর্ণনা দেন।
মতবিনিময় সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত না থাকায় বক্তারা বিষয়টির সমালোচনা করেন।
এদিকে মতবিনিময় সভা শেষ হওয়ার পর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফুলসারা ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদী মাসুদ চৌধুরী নিজের ফেসবুক ওয়ালে ৪০ মিনিটের ব্যবধানে ২টি স্টাটাস দেন। প্রথম স্টাটাসে তিনি লেখেন, ‘‘আসসালামু আলাইকুম প্রান প্রিয় ইউনিয়ন বাসি আমার ইউনিয়নের সার্বিক উন্নয়নে জিনি দাবি করলেন কোন রকম সহায়তা করে থাকে এর একটা প্রমান দিলে রাজনিতি থেকে বিদায় নিবো, বক্তাদের বক্তব্যের বিচার প্রিয় ইউনিয়ন বাসির উপর ভার দিলাম।” এরপর তিনি স্টাটাস দেন ‘‘সমস্ত অর্থ বরাদ্ব, ষোল/সতেরো অর্থ বৎসর’’। এরপর তিনি আরেকটি স্টাটাস দেন ‘‘আমার স্কুল ভবনের কাজ কবে শুরু”।