Type to search

ফুলতলায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা

খুলনা

ফুলতলায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা

স্টাফ রিপোর্টার, ইমদাদুল হক রহীম
যশোর-খুলনার মধ্যবর্তী স্থান যুগ্নিপাশা গ্রামের  মুক্তিযোদ্ধা মোশারফ খন্দকার (ঘরজামাই)এর ছোট ছেলের রিয়াজ খন্দকার (৩২) মুসলিমা খাতুন(২০) নামে আয়ন মিলে চাকরিরত এক যুবতীকে ধর্ষণ ও হত্যার পর মাথা কেটে বিবস্ত্র করে ফেলে রাখে ।এর সহযোগী একই গ্রামের শিলন গাজীর ছেলে সোহেল গাজী (২৫)।
গত ২৫ জানুয়ারি যুগ্নিপাশা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা  মোশারফ খন্দকার (ঘরজামাই) এর ছেলে রিয়াজ খন্দকার (৩২)ও শিলন গাজির ছেলে সোহেল গাজী (২৫) মুসলিমা খাতুন (২০)নামে  যুবতীকে ধর্ষণ করে হত্যার পর মাথা কেটে উত্তরদিহি রেজাউল সরদারের ধানক্ষেতে মস্তকবিহীন বিবস্ত্র দেহ এবং পার্শ্ববর্তী নজরুল খার নির্মাণাধীন বাড়ির বাথরুমে বালুর নিচে মাথা রেখে যায় ।
২৬ ‌জানুয়ারি সকালে পুলিশ মুসলিমার মস্তকবিহীন লাশ উদ্ধার করার পর  রাব ও পুলিশ  যৌথভাবে হত্যাকারী কে ধরার জন্য ঘটনাটিকে নিয়ে তদন্ত শুরু করে ।এবং ঘটনার তিন দিনের মাথায় (২৯) জানুয়ারি এ ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ।র্্যাব-৬  এর অধিনায়ক লে:  কর্নেল মোহাম্মদ মোস্তাক আহমেদ এ কথা জানান ।তিনি আরো জানান আটককৃত রিয়াজ খন্দকার হিন  চরিত্রের অধিকারী ও লম্পট প্রকৃতির লোক । ইতিপূর্বে তারা প্রতারণার মাধ্যমে অনেক মেয়ের সম্ভাম নষ্ট করার  কথা স্বীকার করেছে গ্রেফতারকৃত রিয়াদ খন্দকার।
গ্ৰেতারের পর রিয়াজ ও সোহেলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ ও র্্যাব ওই স্থান থেকে মুসলিমার  মাথা, পরনের কাপড় ,পায়ের স্যান্ডেল এবং রিয়াজের বাড়ি থেকে মস্তকবিহীন লাশটি উদ্ধার করে ।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফুলতলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোস্তফা হাবিবুল্লাহ বলেন উদ্ধারকৃত মস্তকের ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে ।আলামত হিসেবে জামা কাপড় স্যান্ডেল এবং হত্যাকারী ব্যবহৃত বটি জব্দ করা হয়েছে।
গত ২৬ জানুয়ারি সকালে মুসলিমার মস্তকবিহীন লাশ উদ্ধার করে পুলিশ লাশের ময়নাতদন্ত শেষে ২৭ জানুয়ারি দাফন করা হয় ।এ ব্যাপারে মুসলিমার মেজ বোন আকলিমা খাতুন বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।
এদিকে রিয়াজের এলাকার একাধিক সূত্র থেকে জানা যায় মুক্তিযোদ্ধা মোশারফ খন্দকার ( ঘরজামাই) একজন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা । মোশারফ খন্দকার এর আসল বাড়ি যশোর জেলার অভয়নগর থানার বাশুয়াড়ী গ্রামে ।তার  চার ছেলের মধ্যে বড় টা আত্মহত্যা করে ,মেজ টা এনকাউন্টারে মারা যায়, সেজটা সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হয় ।পারিবারিকভাবে সকলেই সমাজের কাছে চরম অপরাধী।
তবে মুসলিমার পরিবারের দাবি রিয়াজ ও সোহেলকে জনগণের সামনে এনকাউন্টার দেওয়া হোক। তাহলে সমাজের অপরাধপ্রবণতা কমবে।