Type to search

প্রেমিকের জিহ্বা কেটে নেওয়া প্রেমিকার জামিন

আইন ও আদালত

প্রেমিকের জিহ্বা কেটে নেওয়া প্রেমিকার জামিন

অপরাজেয়বাংলা ডেক্স

প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, অতপর বিয়ে করতে গড়িমসি। ফল হিসেবে অন্তরঙ্গ মুহূর্তে কামড় দিয়ে কেটে নেন প্রেমিকের জিহ্বা। এমন অভিযোগে গ্রেফতার এক তরুণীসহ মামলার তিন আসামিকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২৪ অক্টোবর) ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহজাদী তাহমিদা তাদের জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

জামিন পাওয়া তিন আসামি হলেন- প্রেমিকা (২৫), তার মা আনোয়ারা বেগম ও ভাই ফারুক হোসেন। তবে ওই তরুণীর বাবা শফিকুল ইসলামের রিমান্ড ও জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

এদিন চারজনকে আদালতে হাজির শফিকুল ইসলামের পাঁচ দিনের রিমান্ড ও বাকিদের কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তন্ময় সাহা। আসামিপক্ষে আইনজীবী রিয়াজুল ইসলাম আসামি শফিকুলের রিমান্ড বাতিল পূর্বক জামিন এবং অপর তিনজনের পক্ষে শুধু জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তিনজনকে জামিন দিলেও শফিকুলকে রিমান্ড ও জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

শনিবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঢাকার ধামরাই উপজেলার রোয়াইল ইউনিয়নের ফড়িঙ্গা গ্রামে প্রেমিকের জিহ্বা কেটে রাখার অভিযোগ উঠে প্রেমিকার বিরুদ্ধে।

আহত প্রেমিক সাইফুল ইসলাম একই এলাকার রহমত আলীর ছেলে। পুলিশ ও সাইফুলের পরিবার সূত্র জানায়, সাইফুলের সঙ্গে একই এলাকার এক তরুণীর (২৫) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন সাইফুল। কিন্তু বিয়ে না করে দিনের পর দিন সময়ক্ষেপণ করতে থাকলে প্রেমিকা ক্ষিপ্ত হন। শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে প্রেমিকার বাড়িতে গেলে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী অন্তরঙ্গ মুহূর্তে ব্লেড দিয়ে প্রেমিকের জিহ্বা দ্বিখণ্ডিত করেন ওই তরুণী। পরে তার স্বজনরা সাইফুলকে বেধড়ক মারধর করেন। একপর্যায়ে নিস্তেজ হয়ে পড়লে সাইফুলকে মৃত ভেবে ঘরের মেঝেতে ফেলে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান সবাই। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রেমিকের কেটে রাখা জিহ্বা উদ্ধার করে পুলিশ। রোববার এ ঘটনায় ধামরাই থানায় একটি মামলা হয়। সেই মামলায় এই চারজনকে গ্রেফতার আদালতে হাজির করা হয়।

সূত্র, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম