Type to search

প্রশাসনের চোখ এড়াতে ভাড়া বাসায় চলছে ক্লাস কার্যক্রম

জেলার সংবাদ বাংলাদেশ শিক্ষা

প্রশাসনের চোখ এড়াতে ভাড়া বাসায় চলছে ক্লাস কার্যক্রম

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়লে গতবছরের মার্চে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়। এরমধ্যে অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয়। পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করায় আগামী ৩০শে মার্চ স্কুল-কলেজ খোলার চিন্তা করে সরকার। কিন্তু এর মধ্যেই শেরপুরের বেশিরভাগ বেসরকারি স্কুল তাদের কার্যক্রম চালিয়ে গেছে।

অনেকে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে স্কুল ক্যাম্পাস ছেড়ে বাসা ভাড়া নিয়ে আরও আগে থেকেই ক্লাশ চালিয়ে আসছেন।

এ ব্যাপারে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিধি নিষেধ থাকায় ক্যামেরার সামনে কথা বলতে নারাজ ছাত্র-অভিভাবক।

ক্লাশগুলোতে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্য বিধিও। শিক্ষক-শিক্ষার্থী কারোরই মুখে নেই মাস্ক। যদিও শিক্ষকরা বলছেন, তারা স্বাস্থ্য বিধি মেনেই ক্লাশ নিচ্ছেন। শিক্ষকদের দাবি,’স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ক্লাশ নিচ্ছি। যেহেতু অল্প কয়েকজন করে বাচ্চা নিয়ে, ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় ক্লাশ নিচ্ছি। প্রতিদিন ক্লাশ নেই না। সপ্তাহে দুই দিন ক্লাশ নেই।’

শেরপুর জেলা কিন্ডারগার্টেন স্কুল এসোসিয়েশনের আহ্বায়ক জানান, করোনায় কিন্ডারগার্ডেন স্কুলগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন সীমিত কার্যক্রম চালিয়ে কোনরকমে বেঁচে থাকার চেষ্টা করা হচ্ছে।

শেরপুর জেলা কিন্ডারগার্টেন স্কুল এসোসিয়েশন আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন,’প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেছেন, কিন্ডারগার্টেন আমাদের নির্দেশনার মধ্যে নেই। তারা চাইলে যে কোন দিন স্কুল খুলতে পারবে। মাদ্রাসা তো খুলে দিসে।’

কেউ নির্দেশনার বাইরে গেলে, ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ওয়ালিউল হাসান। শেরপুর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক ও শিক্ষা),  মোহাম্মদ ওয়ালিউল হাসান জানান,’ক্লাশ নেয়ার তো কথা না। সকলে সরকারের নির্দেশনা মেনে চলছে। কেই যদি স্কুল খুলে থাকে তবে আমরা ব্যবস্থা নিবো।’

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলায় সবারই সরকারি সিদ্ধান্ত মেনে স্কুল পরিচালনা করা উচিত বলে মনে করে সচেতন মহল।

সূত্র, DBC বাংলা

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *