রাজশাহীর পবা উপজেলার চর খিদিরপুর গ্রাম। পদ্মার ভাঙা-গড়ার মতোই এ গ্রামের মানুষের জীবন। নদী ভাঙনে ভিটে-মাটি হারানো এসব মানুষের জীবন সংগ্রাম যে কাউকেই করবে বেদনাহত। জীবনের মৌলিক চাহিদার কিছুই মেলেনা তাদের। কখনো করেন কৃষি কাজ, কখনো মাছ ধরে চলে জীবিকার যুদ্ধ। শহরে আসতে হলে এই গ্রামবাসীর যোগাযোগের একমাত্র বাহন নৌকা বা ট্রলার।
৩৫ বছরের জীবনে চারবারের মত বসত নির্মাণ করেছেন আমিনুল ইসলাম। প্রতিবার বাড়িঘর কেড়ে নিয়েছে সর্বগ্রাসী পদ্মা। পৈত্রিক ভিটা হারিয়ে এবার ঘর উঠছে ভাড়া জমিতে।
পদ্মার সর্বগ্রাসী ভাঙনে চর খিদিরপুর এসে ঠেকেছে খানপুর গ্রামে। খিদিরপুরের ১১টি মৌজার ১০টিই বিলীন পদ্মার গর্ভে। অবশিষ্ট ভূমিও ভারতের সীমান্ত ছুঁইছুঁই। ভাঙন থেকে রক্ষা পাওয়া জমিতে আবাদ করেই জীবিকা হয় এই গ্রামের বেশিরভাগ মানুষের। পাশাপাশি তারা ধরে মাছ। তবুও তিনবেলার আহার যোগাতেই হিমশিম।
গ্রামবাসীর যোগাযোগের একমাত্র বাহন নৌকা বা ট্রলার। তাও পাওয়া যায় না সব সময়। নেই শিক্ষা, চিকিৎসার মত মৌলিক নাগরিক অধিকার। তবুও আশায় বাঁচে জীবন। নেই স্বপ্ন-সাধ। চাওয়া শুধু নদীভাঙন রোধ ও ন্যূনতম নাগরিক সুবিধা।
সূত্র, DBC বাংলা