Type to search

নড়াইল সদর উপজেলা পর্যায়ের জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগীতায় ফলাফলে পরিবর্তনসহ নানা অভিযোগ

নড়াইল

নড়াইল সদর উপজেলা পর্যায়ের জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগীতায় ফলাফলে পরিবর্তনসহ নানা অভিযোগ

নড়াইল প্রতিনিধি
নড়াইল সদর উপজেলা পর্যায়ের জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগীতা-২০২২ এর
কবিতা ক গ্রুপের ফলাফল প্রকাশের পর পুনরায় পরিবর্তনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ মঙ্গলবার নড়াইল সদর উপজেলার আয়োজনে নড়াইল শহর সরকারি প্রাথমিক
বিদ্যালয়ে শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক এবং নড়াইল পৌর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ক্রীড়া
বিষয় এর উপর এ প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়।


প্রতিযোগী ঈপ্সিতার বকসীর মা মৌসুমি দত্ত জানান, সকাল ৯ টায় এ প্রতিযোগী
শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেলা ১০ টার পরে এ প্রতিযোগীতা শুরু হয়। শিক্ষা
বিষয়ের কবিতা আবৃতি প্রতিযোগী শুরুর পর ২নং প্রতিযোগী ঈপ্সিতা বকসী তার
নির্ধারিত কবিতা আবৃতি করে, বিদ্যালয়ের প্রধান ভবনের দোতলায় অনুষ্ঠিত
সংগীত প্রতিযোগীতায় অংশ নেয়ার জন্য চলে যায়। পরবর্তিতে তাকে ঐ স্থান থেকে
ডেকে এনে কবিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছে বলে, তার কাছ থেকে তার
প্রয়োজনীয় তথ্য লিখে নেওয়া হয়। সে সংগীত শেষ করে চলে আসার সময় আমাকে
একজন অবিভাবক বলে কবিতার রেজাল্ট পরিবর্তন করা হয়েছে জানেন, আপনারা অফিসে
খোজ নেন। ঐ কথা শোনার পর আমি ও ঈপ্সিতার বাবা ( সুজয় বকসী) কবিতার অফিসে
খোজ নিতে গেলে, ঐ স্থানে থাকা ২ জন প্রাথমিক শিক্ষকা বলেন, ২ জন বিচারকের
মধ্যে আমাদের একজনের মার্ক যোগ করতে ভ’ল হয়েছিল, তাই রেজাল্ট পরিবর্তন
হয়েছে। এটাই ফাইনাল রেজাল্ট। আপনাদের কিছু করার থাকলে, পারলে কিছু করেন।
তিনি আরো বলেন, প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহন করা বড় কথা বিজয়ী সবাই হয় না,
তারপরও একটি প্রতিযোগীতায় ফলাফল ঘোষনা করার পর তা পরিবর্তন করা খুবই
দুঃখ জনক, এতে শিশুর মনের পরে কি চাপ পড়ে একজন মা”ই তা বুঝতে পারে। ফলাফল
পরে ঘোষনা করতে পারতো, তাহলে কোন সমস্যা হত না। আমিএ প্রতিযোগী পুনরায়
নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান। তাতে যেই বিজয়ী হোক তাকে
আমাদের কোন আপত্তি নেই।
অন্য একজন অবিভাবক বলেন এ প্রতিযোগীতায় ৫ জন বিচরক থাকলেও তিন জনই হাজির
হয়নি। উপস্থিত ছিলেন সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ তাজকির আহম্মেদ ও
এস,এম ওয়াহিদুর রহমান। যাদের এই বিষয়ে কোন অভিজ্ঞতা নেই বলেও মন্তব্য
করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদর উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ সাহা
খোজ নিয়ে জানান, আমাদের ভুল হয়েছে, একজন বিচারকের মার্ক যোগ করা না
হওয়ায়,ফল পরিবর্তন করা হয়েছে।
ঈপ্সিতার পিতা সাংবাদিক সুজয় বকসী এ বিষয়ে এ প্রতিযোগীতার কমিটির সভাপতি
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া ইসলাম এর সাথে মুঠোফোনে কথা বললে,
তিনি বলেন, এ রকম হতে পারে জেনে, সদর উপজেলা এসি ল্যান্ড মোঃ সেলিম
আহম্মেদ ও সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আবুল বাশারকে দিয়ে আমরা একটি
মনিটরিং কমিটি করেছি, আপনি ঐ কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করেন।
সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভ’মি) (এসি ল্যান্ড) মোঃ সেলিম আহম্মেদ
জানান, বিষয়টি আমি দেখছেনন।