Type to search

নড়াইলে শেষ হলো ঐতিহ্যবাহী বাবা নিশিনাথ পূজা উদ্‌যাপন

ধর্ম

নড়াইলে শেষ হলো ঐতিহ্যবাহী বাবা নিশিনাথ পূজা উদ্‌যাপন

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল থেকে:
নড়াইলে যথাযোগ্য মর্যাদায় শ্রী শ্রী বাবা নিশিনাথ পূজা উদ্‌যাপন হলো। নড়াইল শহরের নিশিনাথতলা এলাকায় কয়েকশো বছরের পুরাতন ঐতিহ্যবাহী এ ধর্মীয় আয়োজনকে ঘিরে ব্যাপক উদ্দীপনা ছিল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে। জগতের কল্যাণ ও মনোবাসনা পূরণে দেবতা নিশিনাথের তুষ্টি লাভের আশায় পরম ভক্তি শ্রদ্ধায় ভক্তদের এ পূজার্ঘ নিবেদন।
বাবা নিশিনাথ পূজায় ভক্তরা।  বাবা নিশিনাথ পূজায় ভক্তরা। উজ্জ্বল রায়, নড়াইল থেকে জানান, জনশ্রুতি আছে, বাবা নিশিনাথ এক সময় দস্যুবৃত্তিতে জড়িত থাকলেও ঘটনাচক্রে তিনি দস্যুতা ছেড়ে কঠোর তপস্যায় সিদ্ধি লাভ করে কালের গণ্ডি পেরিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পরম পূজনীয় দেবতার আসনে অধিষ্ঠিত হন। মাসব্যাপী পূজার সমাপনী দিন শনিবার (১৩ মে) পূজাকে ঘিরে ভক্তদের ব্যাপক সমাগম ঘটে।
ভক্তরা জানান, নিশিনাথ পূজার প্রধান আচার চিত্রানদী থেকে জল এনে বাবা নিশিনাথের সাধনার পীঠস্থান নড়াইল শহরের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত সুপ্রাচীন বটবৃক্ষ কাণ্ডে ঢালা। এ আচার পালনে ভোর থেকে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে দলে দলে কলস, ঘটি, বালতিসহ বিভিন্ন জলপাত্র সহযোগে জল আনতে নানা বয়সের মানুষ চিত্রার বাঁধাঘাটে যান। নদী থেকে জল নিয়ে সবাই ঢালেন বটবৃক্ষ কাণ্ডে। যার যার শারীরিক সামর্থ্য অনুযায়ী নদী থেকে জল তুলে এনে কয়েক দফায় এ জল ঢালা চলে।
জাগতিক নানা সংকট, কামনা-বাসনা পূরণে বাবা নিশিনাথের সমীপে ভক্তরা মিনতি জানান, মনস্কামনা পূরণ হলে বছর ঘুরে মানত পরিশোধ করতে ছুটে আসেন। বাবা নিশিনাথের নামেই এ এলাকার নামকরণ নিশিনাথতলা হয়েছে। নিশিনাথতলায় বিশাল বটবৃক্ষ আর বৃক্ষতলে ছোট্ট মন্দিরকে ঘিরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সীমাহীন এ ভক্তি শ্রদ্ধা বয়ে আসছে কয়েক শতাব্দী ধরে। প্রতি বছর বৈশাখ মাসজুড়ে প্রতি শনি ও মঙ্গলবার ভক্তের পূজা অর্চনা পরম ভক্তি-ভালবাসায় সিক্ত হন দেবতা নিশিনাথ।
এ সময় নড়াইল ছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য ভক্ত অনুরাগীর পদচারণায় নিশিনাথতলা এলাকা মুখর হয়ে ওঠে।
নড়াইল শহর বাঁধাঘাট কেন্দ্রীয় দুর্গা মন্দিরের পুরোহিত শ্রী হিরণ গোস্বামী বলেন, ‘জগতের সামগ্রিক কল্যাণে বাবা নিশিনাথের তুষ্টির আশায় কয়কেশো বছর ধরে এ নিশিনাথ পূজা চলে আসছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *