Type to search

নড়াইলে পিতৃ হত্যার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

নড়াইল

নড়াইলে পিতৃ হত্যার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

নড়াইল প্রতিনিধি
পিতৃ হত্যার মূল আসামীদের বাদ দিয়ে সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তা ঘটনার সাথে
জড়িত নয় এমন নির্দোষ ব্যাক্তিদের নামে চার্জশীট দেওয়ায় ন্যায় বিচার চেয়ে
সংবাদ সম্মেলন করেছেন লোহাগড়া উপজেলার লাহুড়িয়া ডিগ্রীরচর গ্রামের মৃত
শেখ ইলিয়াছের পুত্র মো. রকিব হোসেন ইমরান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নড়াইল প্রেসক্লাবে  অনুষ্ঠিতসংবাদ সম্মেলনে ভূক্তভোগী
পরিবারের সদস্য মো. রকিব হোসেন ইমরান লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০১৪ সালের ৫
নভেম্বর প্রায় একশত বছরের বিরোধকে কেন্দ্র করে লাহুড়িয়া ডিগ্রীরচর
গ্রামের মৃত আজিজ মোল্যার পুত্র হারুন মোল্যা ও সোবাহান মোল্যা, রশিদ
মোল্যার পুত্র কুতুব উদ্দিন লুলু, হারুন মোল্যার পুত্র দিদার মোল্যা,
আকবর মোলার পুত্র রাজু মিয়া, মৃত মোতালেব মোল্যার পুত্র আমিনুর মেল্যা,
আছাদ মোল্যার পুত্র নাসিমুল, মৃত বজলু শরীফের পুত্র হারুন শরীফ, মৃত
মান্নান মল্লিকের পুত্র শিহাব মল্লিক ও জিল্লু মল্লিক, নওশের মল্লিকের
পুত্র মফিজার, ইদ্রিসের পুত্র রবিউল, আয়নালের পুত্র নজরুল, মৃত হারুন
মোল্যার পুত্র রুবেল দলবদ্ধ হয়ে আমার পিতা শেখ ইলিয়াছকে আমাদের বসত ঘরে
ডুকে হামলা চালিয়ে কুপিয়ে হ্ত্যা করে।
ঘটনা উল্লেখে ২০১৪ সালে ৭ নভেম্বর লোহাগড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের
করি (মামলা নম্বর: ৪ তারিখ: ৭.১১.২০২২, ধারা ৩০২/৩৪)। মামলা দায়েরের পর
লোহাগড়া থানার এসআই বিপ্লব কুমার সাহা তদন্তভার গ্রহন করেন। পরবর্তিতে
মামলাটি নড়াইল সিআইডি বিভাগে স্থানান্তরিত হয় এবং সিআইডি এর এসআই রবিউল
আলম মামলাটি তদন্ত করেন।
সিআইডি এর এসআই রবিউল আলম মামলাটি তদন্তকালে লাহুড়িয়া এগারনালী গ্রামের
মৃত রোস্তম মোল্যার ছেলে মো. আতিয়ার রহমানকে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে
গ্রেপ্তার করেন। তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রবিউল আলম মামলাটি তদন্তশেষে
দায়েরকৃত মামলার এজাহারে উল্লেখিত সব আসামিকে বাদ দিয়ে মামলার ৪ নম্বর
সাক্ষী আহম্মদ শেখের অপর তিন ভাই উসমান শেখ চান শেখ  খোকন শেখ ও অপর এক
প্রতিবেশি মো. সাইফার হোসেনসহ মোট ৫জনের নামে চার্জশীট প্রদান করেন।
মো. রকিব হোসেন ইমরান আরও বলেন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা আমার পিতার
মূল হত্যাকারীসহ অন্যান্য আসামিদের নাম বাদ দিয়ে অন্য নির্দোষ
ব্যাক্তিদের নামে চার্জশীট প্রদান করায় আমি লোহাগড়া আমলী আদালতে উক্ত
চার্জশীটের বিরুদ্ধে নারাজি দিয়েছিলাম, পরবর্তীতে জেলা জজ আদালতে নারজি
দিলেও সেটি খারিজ হয়ে যায়। আমি  আমার পিতৃ হত্যার  সুষ্ঠ বিচার দাবি
করছি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *