Type to search

নড়াইলে গোষ্ঠিগত দ্বন্দ্বের জেরে বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট ৪ জন গ্রেফতার 

নড়াইল

নড়াইলে গোষ্ঠিগত দ্বন্দ্বের জেরে বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট ৪ জন গ্রেফতার 

উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে 
নড়াইলে গোষ্ঠিগত দ্বন্দ্বের জেরে বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট ৪ জনকে গ্রেফতার।
নড়াইলে বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধের জেরে নড়াইলের ফুলদহ গ্রামে প্রতিপক্ষের ৩০টির অধিক বাড়িঘর স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভুক্তভোগীরা নিজেদের জানমালের নিরাপত্তাসহ বর্বরোচিত এ হামলার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছেন। এ ঘটনায় জড়িত ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে জানান, বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গ্রামজুড়ে ধ্বংসের চিহ্ন। ঘরের টিনেরচালা, বেড়া, কুপিয়ে ছিন্নভিন্ন করা হয়েছে। গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে জানালা-দরজা। বসতঘর, দোকান, রান্নাঘর, গোয়ালঘর, কোনো কিছুই বাদ যায়নি নরকীয় হামলা থেকে। অক্ষত নেই ঘরের কোনো জিনিষপত্র। একদিন আগের সাজান-গোছান সংসার ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে।
এছাড়া লুটে নেওয়া হয় নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, কালার টিভি, ফ্রিজ মোবাইল ফোন, স্যালো মেশিনসহ দামী জিনিসপত্র। ৩০টির অধিক বাড়িঘরে ভাংচুর লুটপাটের মাধ্যমে সর্বমোট ক্ষয়ক্ষতি পরিমান প্রায় কোটি টাকা বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্থদের। ভুক্তভোগী এলাকাবাসী জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কালিয়া উপজেলার ফুলদহ গামের ফসিয়ার মোল্যা পক্ষও সেলিম ফকির, জামিরুল ফকির পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে।
চলমান এ বিরোধের জেরে ১৫ জানুয়ারি থেকে দুইপক্ষে কয়েক দফায় সংঘাত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ফসিয়ার মোল্যা পক্ষের লোকজন প্রতিপক্ষ সেলিম ফকির পক্ষের লোকজনের বাড়ি ঘরে চড়াও হয়। বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শতাধিক দুর্বৃত্ত ঘন্টাব্যাপী হামলা চালায়। এসময় নারী-পুরুষ নির্বিশেষে দৌড়ে পালিয়ে রক্ষা পেলেও তাদের বাড়িঘরে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়। এ বিষয়ে কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ তাসমীম আলম বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোষ্ঠিগত দ্বন্দ্বের জেরে ফসিয়ার মোল্যা পক্ষের লোক তাদের প্রতিপক্ষ সেলিম ফকির পক্ষের ১০ থেকে ১৫টি বাড়ি ভাংচুর চালিয়েছে।
এদিকে সম্প্রতিক সংঘাত সংঘর্ষের ঘটনায় বিবাদমান দুইপক্ষে মোট ৪টি মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ৪ জনকে গ্রফতার করা হয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান কালিয়া থানা পুলিশের এই কর্মকর্তা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *