Type to search

নড়াইলের কালিয়ায় চুরি যাওয়া বিদ্যুতের খুটি উদ্ধার, চোর চক্রের পলায়ণ

নড়াইল

নড়াইলের কালিয়ায় চুরি যাওয়া বিদ্যুতের খুটি উদ্ধার, চোর চক্রের পলায়ণ

নড়াইল প্রতিনিধি
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার খাশিয়াল ইউনিয়নের পুটিমারী গ্রামে দালাল চক্রের
অবৈধ সংযোগ দেয়ার সময় পল্লী বিদ্যুতের চুরি যাওয়া কাঠের খুটি উদ্ধার
করেছে নড়াগাতী থানা পুলিশ। প্রতিবেশী লেকবার মোল্যার স্ত্রী বণ্যা বেগম
ওই সংযোগে বাঁধা দিলে খুটির মালিক মৃত মমিন মোল্যার ছেলে ইকবাল মোল্যা ও
তার স্ত্রী মারপিট করলে বিচার চেয়ে থানায় অভিযোগ করেন। এরই ধারাবাহিকতায়
২৭ সেপ্টেম্বর সন্ধা ৭ টার দিকে ইকবালের বাড়ীতে আসলে খুটি স্থাপনের কাজে
নিয়োজিত মিলন বিশ্বাসের সহকর্মী কালিয়ার জায়েদ হোসেনসহ সঙ্গীরা পালিয়ে
যায়। অতঃপর পুলিশ বড়দিয়া অভিযোগ কেন্দ্রে ফোন দিলে তারা চুরি যাওয়া খুটি
সনাক্ত করে। এ ঘটনায় কালিয়া জোনাল অফিসের ডিজিএম বনিয়ার রহমান একটি
অভিযোগ দায়ের করেছেন।
খুটির মালিক ইকবাল মোল্যা জানান, খাশিয়াল গ্রামের বিলায়েত বিশ্বাসের ছেলে
মিলন বিশ্বাস দীর্ঘদিন যাবৎ বিদ্যুৎ অফিসের লোকের সাথে কাজ করে, বিধায় ওই
অফিসের লোক হিসাবেই তাকে চিনি। তাই পোলের বিষয়ে তার সাথে কথা হলে সে ২০
হাজার টাকা লাগবে বলে জানায়। অবশেষে তার কথা মত আবেদন করার জন্য আইডি
কার্ড ও ১ হাজার টাকা দেই। ২২ সেপ্টেম্বর মিলন ও কালিয়ার জায়েদ নামে একজন
লোক আমার বাড়ীতে খুটি নিয়ে আসলে ১৫ হাজার টাকা দেই এবং পোতা হলে বাকি ৫
হাজার দিব বলে কথা হয়। ঘটনার দিন জায়েদসহ ৫/৭ জন খুটি পুততে আসলে পুলিশ ও
বিদ্যুৎ অফিসের লোকের মাধ্যমে জানতে পারি এটি চোরা খুটি।
উপজেলার বড়দিয়া অভিযোগ কেন্দ্রের লাইন শ্রমিক উজ্জল হোসেন বলেন, পুলিশের
ফোন পেয়ে আমরা তিন জন পুটিমারী গ্রামে ইকবাল মোল্যার বাড়ীতে গিয়ে চুরি
যাওয়া পোল সনাক্ত করি।পরে জানতে পারি কালিয়ার জাহেদ নামে একটি লোকের
নেতৃত্বে কয়েকজন সঙ্গীসহ ওই বাড়ীতে খুটি স্থাপনের কাজ করছিল। ৪০ ফুটের
খুটি থেকে তারা ১০ ফুট কেটেও ফেলেছে। অতঃপর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল
পরিদর্শন করে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেবেন।
এ বিষয় অভিযুক্ত জাহেদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি তবে মিলন বিশ্বাস
বলেন, পোলের বিষয়ে ইকবালের সাথে কথা হলে ২০/২৫ হাজার টাকা খরচ হবে বলেছি
এবং আবেদন বাবদ ১ হাজার টাকা নিয়েছি। এরপর কি হয়েছে জানিনা।
এ প্রসঙ্গে কালিয়ার পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিসের ডিজিএম মো.বনিয়ার রহমান
বলেন, পূর্বের বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জানলাম বলে খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে
জানান এবং সাম্প্রতিক ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে নড়াগাতী থানায় একটি অভিযোগ
দায়ের করা হয়েছে এবং অন্য কারোর সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা তদন্ত করে দেখা
হচ্ছে।
এ বিষয়ে নড়াগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ সুকান্ত সাহা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি।
তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।