Type to search

নৌকার প্রার্থী স্বামীকে সমর্থন করে প্রতীক বরাদ্দের পরদিন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন স্বতন্ত্র প্রার্থী চন্দনা হক

নড়াইল

নৌকার প্রার্থী স্বামীকে সমর্থন করে প্রতীক বরাদ্দের পরদিন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন স্বতন্ত্র প্রার্থী চন্দনা হক

নড়াইল প্রতিনিধি
নড়াইল-১ আসনে প্রতীক বরাদ্দের পরদিন নৌকার প্রার্থী স্বামীকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন স্ত্রী স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী চন্দনা হক। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-১ (সদরের আংশিক ও কালিয়া উপজেলা) চন্দনা হক এ আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী বি.এম কবিরুল হক মুক্তির স্ত্রী।
মঙ্গলবার বিকেলে কালিয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষনা দেন তিনি (চন্দনা হক)।এ সময় বিএম কবিরুল হক মুক্তি এমপি,কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম হারুনার রশিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোল্যা ইমদাদুল হক,কালিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র মুশফিকুর রহমান লিটন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইব্রাহীম শেখসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে চন্দনা হক তাঁর বক্তব্যে বলেন,আমার স্বামী বি.এম কবিরুল হক মুক্তি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার পরেও কৌশলগত কারণে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলাম।এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার জন্য আমি ঈগল প্রতীক পাই। জন্মগতভাবে আমি আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।আমার পিতা মরহুম আ: সত্তার সরদার মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন।
পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ এখলাছ উদ্দিনের কনিষ্ঠ পুত্র বি.এম কবিরুল হক মুক্তির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। আমি বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের রাজনৈতিক ভূমিকায় অনুপ্রাণিত হয়ে ছায়ার মত আমার স্বামী ও দলীয় লোকজনকে আগলে রাখার চেষ্টা করি।বাকী জীবনও স্বামীর রাজনৈতিক ও সামাজিক কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখব। তাই আমার স্বামীর জন্য বিগত দিনের মত দলীয় প্রতীক নৌকার ভোট প্রার্থনায় ব্যস্ত থাকতে এবং শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম।