Type to search

নো-ফ্লাই জোনে অস্বীকৃতি, ন্যাটোর ওপর ক্ষেপে গিয়ে যা বললেন জেলেনস্কি

জাতীয়

নো-ফ্লাই জোনে অস্বীকৃতি, ন্যাটোর ওপর ক্ষেপে গিয়ে যা বললেন জেলেনস্কি

অনলাইন ডেস্ক:ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকেই মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোকে দেশটির আকাশে ‘নো-ফ্লাই’ জোনের ঘোষণা দিতে অনুরোধ করে আসছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

কিন্তু তাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে পশ্চিমা এই সামরিক জোট ন্যাটো। তাদের বক্তব্য, ইউক্রেন ন্যাটোভুক্ত দেশ নয়। সেদেশে ন্যাটোর এ রকম পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ নেই। তাছাড়া এটি করা হলে ইউক্রেনের আকাশে রুশ যুদ্ধবিমান ওড়া নিষিদ্ধ হয়ে যেত। তাতে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাঁধার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে ন্যাটো। ফলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের ওই প্রস্তাব নাকচ করে দেয় মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটটি।
আর তাতেই মারাত্মক ক্ষেপেছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, এখন থেকে ইউক্রেনে যত মানুষ মারা যাবে, তার জন্য ন্যাটোও দায়ী থাকবে।

শুক্রবার রাতে টেলিভিশনের এক ভাষণে জেলেনস্কি অভিযোগ করেন, পশ্চিমা নেতারা জানতেন, তার দেশে রাশিয়ার আগ্রাসন বাড়বে। তবুও পুতিন বাহিনীকে ইউক্রেনীয় শহরগুলোতে বোমা হামলা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, নতুন হামলা ও হতাহতের ঘটনা অনিবার্য জেনেও ন্যাটো ইচ্ছা করে ইউক্রেনের আকাশসীমা বন্ধ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ জোটের নেতারা ইউক্রেনকে নো-ফ্লাই জোন করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে এর শহর-গ্রামে আরও বোমা হামলার সবুজ সংকতে দিয়েছেন।

জেলেনস্কি বলেন, আজ থেকে যত মানুষ মারা যাবে, তার জন্য আপনারাও দায়ী। আপনাদের দুর্বলতার কারণে, আপনারা যোগাযোগ বন্ধ করার কারণে তাদের মৃত্যু হবে।

তিনি বলেন, আজ ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলন হয়েছে। এটি দুর্বল সম্মেলন, বিভ্রান্তিকর সম্মেলন। এই সম্মেলন দেখালো, সবাই ইউরোপের স্বাধীনতার লড়াইকে এক নম্বর লক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করে না।

ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট বলেন, ন্যাটো দেশগুলোর সব গোয়েন্দা সংস্থাই শত্রুপক্ষের পরিকল্পনা সম্পর্কে ভালোভাবে জানে। তারা নিশ্চিত করেছে, রাশিয়া আক্রমণ চালিয়ে যেতে চায়। তবুও ন্যাটো ইচ্ছা করে ইউক্রেনের আকাশসীমা বন্ধ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা গল্প ফেঁদেছে যে, ইউক্রেনের আকাশসীমা বন্ধ করলে তা সরাসরি ন্যাটোর বিরুদ্ধে রুশ আগ্রাসনকে উসকে দেবে।

জেলেনস্কির কথায়, এটি হলো ভেতরে ভেতরে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা দুর্বলদের নিজেকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা, যদিও তাদের কাছে আমাদের চেয়ে বহুগুণ শক্তিশালী অস্ত্র রয়েছে। তার দাবি, রুশ আগ্রাগাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেন না টিকলে ইউরোপও টিকবে না। ইউক্রেন ভেঙে পড়লে ইউরোপও ভেঙে পড়বে।

এর আগে, শুক্রবার দুপুরে ব্রাসেলসে ন্যাটোর বৈঠকে জোটের মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ ইউক্রেন পরিস্থিতিকে ‘ভয়াবহ’ বলে বর্ণনা করলেও তাদের বাহিনী দেশটিতে প্রবেশ করবে না বলে পরিষ্কার জানিয়ে দেন।
সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *