Type to search

দেশব্যাপী নয়, এলাকাভিত্তিক লকডাউনের পরামর্শ

জাতীয় স্বাস্থ্যবিধি

দেশব্যাপী নয়, এলাকাভিত্তিক লকডাউনের পরামর্শ

অপরাজেয় বাংলা ডেক্স : দেশব্যাপী সর্বাত্মক বিধিনিষেধ নয়, এখন প্রয়োজন এলাকাভিত্তিক লকডাউন। ডিবিসি নিউজকে এমনটাই মত দিয়েছেন ভাইরাস বিশেষজ্ঞ এবং জনস্বাস্থ্যবিদরা। তারা বলেছেন, জীবন-জীবিকা বাঁচাতে সরকারকে কর্ম পরিকল্পনা ঠিক করতে হবে। এছাড়া ভারতে করোনার যে ভয়াবহতা দেখা দিয়েছে, তা থেকে বাংলাদেশকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

এপ্রিলের শুরুতেই দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকে আশংকাজনক হারে। মৃত্যুর হারও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে।

চলতি মাসের শুরুতে করোনার নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী দৈনিক শনাক্তের হার ২০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। গত সপ্তাহ থেকে কমতে থাকে শনাক্তের হার। ১৬ এপ্রিল সংক্রমণ ২৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। এরপর থেকে আস্তে আস্তে কমতে থাকে।

দেশে সংক্রমণের হার কমলেও প্রতিবেশী দেশ ভারত করোনার হানায় বিপর্যস্ত। সংক্রমণের দিক থেকে বিশ্বে এখন দ্বিতীয় অবস্থানে ভারত।

সংক্রমণের হার এখনো আশানুরুপ না কমলেও সর্বাত্মক বিধিনিষিধের মধ্যে আজ রবিবার (২৫ এপ্রিল) থেকে খুলে দেয়া হয়েছে শপিংমল ও মার্কেট। আগামী বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) থেকে সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে চলবে গণপরিবহনও।

সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দেশে সরকারের বিধিনিষেধ কার্যকর না হওয়ায় এলাকাভিত্তিক লকডাউনের কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, ‘লকডাউনটা পুরোপুরি না উঠিয়ে এটা যৌক্তিক হতো যেখানে সংক্রমণ বেশি সেখানে লকডাউন রাখা, যেখানে সংক্রমণ কম সেখানে লকডাউন তোলা। সরকার যদি সেটাই ঘোষণা দিতো তাহলে সেটা বৈজ্ঞানিক হতো।’

বিএসএমএমইউ’র সাবেক উপাচার্য ভাইরাস বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম জানান, ‘টেস্টিং, আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টিন এই জিনিসটা যদি আমরা করতে পারি তাহলে আমরা অনেক ভালো করবো। লোকালি টেস্ট হবে, যে পজিটিভ হবে সে আইসোলেশনে যাবে। ভলান্টিয়ার থাকবে, তারা সবাই মিলে তাকে সাহায্য করবে। যেন তার খাবার, বাজারের অসুুবিধা না হয়।’

সংক্রমণ যখন কিছুটা কমছে তখন ভারতে করোনার উদ্বেগজনক পরিস্থিতি বাংলাদেশকেও বিপদে ফেলতে পারে মনে করেন জনস্বাস্থ্যবিদ ও কোভিড-১৯ জনস্বাস্থ্য কমিটির সদস্য ডাক্তার আবু জামিল ফয়সাল। তিনি বলেন, ‘ভারতে কোভিডের যে সংক্রমণটা ধরা পড়েছে, সে আশঙ্কা থেকে আমাদের তো পয়েন্ট অব এন্ট্রি মানে যত জায়গা দিয়ে দেশে প্রবেশ করতে পারে, সেগুলোকে খুব কড়াকড়ি নিয়ম আরোপ করা উচিত।’

ঝুঁকি নিরসনে সরকারকে কর্ম পরিকল্পনা ঠিক করতে বলছেন সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ। তিনি জানান, ‘আমরা নিশ্চিত সামনের দিনগুলোতে আরো কিছু ভেরিয়ন্টে তৈরি হবে। ঝুঁকি নিরসনে বাংলাদেশের কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা উচিত। প্ল্যান এ, প্ল্যান বি, প্ল্যান সি।’

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, জনগণ স্বাস্থ্যবিধি না মানলে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে না। সূত্র,ডিবিসি নিউজ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *