Type to search

ডোপ টেস্ট: রাজশাহীতে প্রথম ধাপেই ৪ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত 

জাতীয়

ডোপ টেস্ট: রাজশাহীতে প্রথম ধাপেই ৪ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত 

অপরাজেয় বাংলা ডেক্স

রাজশাহীতে ৪ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত 
রাজশাহী জেলা পুলিশে ডোপ টেস্টের পর চারজন কনস্টেবল মাদকাসক্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। তাদের চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।রাজশাহী জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) এবিএম মাসুদ হোসেন সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে কীট না পাওয়ার কারণে রাজশাহী মোট্রোপলিটন পুলিশে (আরএমপি) এখনও সন্দেহভাজনদের ডোপ টেস্ট শুরু হয়নি।

এর আগে গত রোববার (২৯ নভেম্বর) রাজশাহী জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের আরও আটজন পুলিশ সদস্যের ডোপ টেস্ট করা হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে তাদের ফলাফলও ঢাকা থেকে রাজশাহীতে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

রাজশাহী জেলা পুলিশের সূত্রগুলো জানিয়েছে, সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় দেশের মধ্যে রাজশাহীর বিভিন্ন থানা, ফাঁড়ি ও বিভিন্ন ইউনিটগুলোতে কর্মরত পুলিশের মাদকাসক্ত হয়ে পড়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। তাই রাজশাহী জেলা পুলিশে মাদকাসক্তির হার অধিক বিবেচনায় প্রথমে এখানেই ডোপ টেস্ট শুরু হয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) সিদ্ধান্ত ও নির্দেশ মতে, গত অক্টোবরে রাজশাহী জেলা পুলিশে সন্দেহভাজন মাদকাসক্ত পুলিশদের ডোপ টেস্ট শুরু হয়। এরইমধ্যে সাত সন্দেহভাজনের ডোপ টেস্ট করার পর চারজনকে শনাক্ত করা হয়। এই চারজনই বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল। ডোপ টেস্টে মাদক গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও করা হয়েছে।

রোববার রাজশাহী জেলা পুলিশের আরও ৮ জনের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়েছে। এদের মধ্যে এসআই, এএসআই ও কনস্টেবল রয়েছেন। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এসব টেস্টের ফলাফলও জেলা পুলিশের হাতে আসবে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আরও কিছু সন্দেহভাজন পুলিশের ডোপ টেস্ট হবে। রাজশাহী পুলিশ হাসপাতালের একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নেতৃত্বে ডোপ টেস্ট কমিটি করা হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞ কমিটি প্রথমে ফলাফল ঢাকায় পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠিয়ে থাকে। সেখান থেকে সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশকে ফলাফল জানানো হচ্ছে।

রাজশাহী পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন জানান, পুলিশ সদর দপ্তর থেকে প্রাপ্ত এ সংক্রান্ত নির্দেশনাটি রাজশাহীর প্রতিটি থানা ও ফাঁড়িসহ সংশ্লিষ্ট ইউনিট প্রধানের কাছে পাঠানো হয়েছে। মাদকাসক্ত হিসেবে যারা সন্দেহভাজন তাদের নাম গোপনে তার কাছে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোন থানার ওসি বা ইউনিট প্রধান অধীনস্ত কোন সন্দেহভাজনের বিষয়টি গোপন করলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে, ডোপ টেস্ট প্রশ্নে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, আরএমপিতে ডোপ টেস্টের জন্য প্রয়োজনীয় কীট আসেনি। কীট এসে পৌঁছালে আরএমপিতেও মাদকাসক্ত পুলিশ শনাক্তে ডোপ টেস্ট শুরু করা হবে।

 সূত্র,  বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম