Type to search

ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও’র কাছে ৭০টাকার ইনজেকশন ১২শ টাকা

ঝিকরগাছা

ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও’র কাছে ৭০টাকার ইনজেকশন ১২শ টাকা

ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও’র কাছে ৭০টাকার ইনজেকশন ১২শ টাকা !

আফজাল হোসেন চাঁদ :

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ এসকে রাজিবুল ইসলামের নিকট হাটুর ব্যথা নিরাময়ের জন্য কোন রোগী গেলেই ৭০টাকার ইনজেকশন দিতে হয় ১২শত টাকায়। এমনই ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন পার্শ্ববর্তী মনিরামপুর উপজেলার খাটুরা গ্রামের সৈয়দ নুর ইসলাম চৌধুরীর মেয়ে অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থী শাহানা চৌধুরী। ঘটনা সূত্রে অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থী শাহানা চৌধুরী বলেন, তার মাতা জাহেরা পারভীন দীর্ঘদিন যাবৎ হাঠুর ব্যথায় ভূগছেন। অবশেষে হাড়ের ডাক্তারের খোজ খবর নিতে নিতে, তিনি জানতে পারেন ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন হাড়ের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আছেন। পরবর্তীতে সে তার মাকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ এসকে রাজিবুল ইসলামের নিকট যান। তখন আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) বলেন, আপনার মায়ের ব্যথা নিরাময়ের জন্য ১২শ টাকা দামের একটা ইনজেকশন দিতে হবে। এই কথা শুনে শাহানা চৌধুরী তার মাকে ইনজেকশন দিতে রাজি হলে ডাঃ এসকে রাজিবুল ইসলাম তার ব্যাগ থেকে ট্রাইমিসোলন নামের একটি ইনজেকশন দেন। পরবর্তীতে শাহানা চৌধুরী বাহির হতে তার মাকে একই নামের ইনজেকশন দেওয়ার জন্য বাজারের ফার্মিসীতে গিয়ে ট্রাইমিসোলন নামের একটি ইনজেকশন কিনতে গিয়ে দেখেন ইনজেকশনের দাম ৭০টাকা। তখন শাহানা চৌধুরী ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ এসকে রাজিবুল ইসলামের নিকট ফোন দিয়ে বলেন আপনার নিকট থেকে আমার মাকে যে ইনজেকশন দিয়েছিলাম সেটা তো আবার দিতে হবে। ট্রাইমিসোলন নামের যে ইনজেকশনটা আপনি দিয়েছিলেন সেটা তো বাজার থেকে বলছে ৭০টাকা তা আপনার ওখান থেকে দিতে চাচ্ছি তা ১২শ টাকার একটু কম হবে না ? তখন তিনি (উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ এসকে রাজিবুল ইসলাম) বলেন, আপনি কি দিচ্ছেন ওটা আমরা জানি না। আমরা হাইরোনেন্ট দি, হাইডোনিক এ্যাসিড যেটার বডি রেটই প্রায় ১হাজার ৫০টাকার মত বলেই তিনি ফোন কেটে দেন। তবে হাইরোনেন্ট নামের ঔষধটি প্রায় পাঁচ বছর যাবৎ ঝিকরগাছাতে সাপ্লাই নাই বলে বিশেষ সূত্রে জানা যায় এবং হাইরোনেন্ট’র একটা ইনজেকশনের দাম ১৫শ টাকা। প্রকৃতপক্ষে তিনি হাড়ের ডাক্তার কি না সেটা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ঘটনার বিষয় নিয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ভুক্তভোগী অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থী শাহানা চৌধুরী। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ এসকে রাজিবুল ইসলাম বলেন, ৭০টাকার ইনজেকশন দিতে হয় ১২শত টাকা নেওয়া হচ্ছে এই কথার কোনো ভিত্তি নেই। আমরা ব্যবহার করি হাইরোনেন্ট ইনজেকশন। এটার মেলা দাম এটা বাহিরে থেকে কিনতে হয়। এই ইনজেকশন ফুটাতে হলে আমরা রোগীর সাথে কনটাক করে নিই। আমরা জোরাজুরি করে ইনজেকশন দিই না। আমরা বলে নিই আপনার ইনজেকশন দিতে এতো টাকা লাগবে। আপনার সামর্থ থাকলে আপনি আসবেন এখানে অভিযোগ দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। আমরা বলি যে এই ঔষুধের দাম এই, আমরা ফুটাতে নেব এই। ইনজেকশন বাহিরে থেকে কিনে এনে দেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, না ওটা বাহিরে থেকে কিনতে হয় না। ওটা আমাদের কাছেই থাকে। তবে আমি কোনো রোগীকে হাসপাতালে ইনজেকশন দেয় না। যদি আমি দিই তাহলে চেম্বারে আসতে হবে। আর চেম্বারে আসতে হলে খরচ করার মানসিকতা নিয়েই আসতে হবে। আমরা ইনজেকশন ২-৩টা মিশেল করে রোগীকে দেয়। একটা ইনজেকশন দিতে গেলে খরচ বেশি হবে এবং সাইড ইফেক্ট পড়তে পারে বলে বুঝেশুনেই দেই।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *