Type to search

ঝিকরগাছায় নির্বাচনে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় পর চলছে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা

অপরাধ

ঝিকরগাছায় নির্বাচনে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় পর চলছে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা

আফজাল হোসেন চাঁদ, ঝিকরগাছা :

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার শিওরদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪১হাজার টাকার ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও প্রিজাইডিং অফিসার তার প্রতিবেদনে বলছেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে। এই জাতীয়, স্থানীয় ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর নড়েচড়ে বসে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও প্রিজাইডিং অফিসার কামরুজ্জামান মোঃ জাহাঙ্গীর হুসাইন মিঞা। যার ফলে তিনি ২০ মার্চ সকালে তার দপ্তরে উপস্থিত হয়ে নির্বাচনের ফাইলপত্র বের করে আবারও নিজের করা ভূল নিজেই ধরতে পেরে ঘষামাজা করে প্রধান শিক্ষক কার্তিক কুমারকে তার দপ্তরে ডেকে নিয়ে পূর্বে তারিখ অনুযায়ী আবারও প্রতিবেদন দিয়েছেন বলে জানা গেছে। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনের লক্ষ্যে বিভিন্ন শ্রেণির সদস্য নির্বাচন সম্পন্ন করতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও প্রিজাইডিং অফিসার কামরুজ্জামান মোঃ জাহাঙ্গীর হুসাইন মিঞা খরচ হিসেবে নিয়েছেন ৪১হাজার টাকা। উক্ত নির্বাচনে ফমর-৫ (প্রবিধান ২৫ দ্রষ্টব্য) এর ফলাফল বিবরণী মারফতে তথ্যে দেখা গেছে অভিভাবক সদস্য পদে আবুল ইসলাম পেয়েছেন ১০৭ভোট, কামারুল ইসলাম পেয়েছেন ১০২ভোট, জয়নাল আবেদীন পেয়েছেন ১০০ ভোট, আঃ রহিম পেয়েছেন ৯৬ ভোট, সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক সদস্য আয়রা খাতুন পেয়েছেন ৯৮ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত। আর তাদের নিকট তম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী আবু বকর সিদ্দিক পেয়েছেন ৮৯ভোট, মিন্টু মিয়া পেয়েছে ৮৬ভোট, কোরবান আলী পেয়েছেন ৯৪ভোট, স্বপন কুমার দাস পেয়েছেন ৮৫ ভোট ও সোনিয়া খাতুন ৯৩ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন বলে স্বাক্ষর করেছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও প্রিজাইডিং অফিসার। ইতিমধ্যে সমুদয় টাকা পরিশোধ করেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কার্তিক কুমার। তবে বিদ্যালয়ের নির্বাচন কেন্দ্রিক নগদ ৪১হাজার টাকার উপরে খরচ হল দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা টাকা গ্রহণ করার পরও প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিপরীতে কি করে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয় ? এটা কেমন ভূল! এবিষয়ে স্থানীয় সচেতন মহল ও অভিভাবক মহলে বইছে সমালোচনার ঝড়। এটা থেকে পরিত্রাণ পেতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পদক্ষেপ কামনা করেছে এলাকার সচেতন মহলের নেতৃবৃন্দ। প্রধান শিক্ষক কার্তিক কুমার বলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আমাকে তার দপ্তরে ডেকে পূর্বের প্রতিবেদনের বিপরীতে নতুন প্রতিবেদন দিয়েছেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও প্রিজাইডিং অফিসার কামরুজ্জামান মোঃ জাহাঙ্গীর হুসাইন মিঞা বলেন, আমার ভূলের জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।