Type to search

ঝিকরগাছার সাব-রেজিস্ট্রার অফিস স্থানান্তর নিয়ে জনগনের মধ্যে হতাশা বিরাজ

ঝিকরগাছা

ঝিকরগাছার সাব-রেজিস্ট্রার অফিস স্থানান্তর নিয়ে জনগনের মধ্যে হতাশা বিরাজ

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার অফিস স্থানান্তরের খবরে স্থানীয় জনগনের মধ্যে হতাশা। এবং অসন্তোষ বিরাজ করতে দেখা গেছে। উপজেলা মোড় থেকে মাত্র দু-এক মিনিট পায়ে হাঁটার দুরত্বে, উপজেলা সদরের মেইন রোডের সাথে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের প্রাচীর সংলগ্ন হাসিনা আক্তারের দ্বীতীয় তলা ভবনে ভাড়ায় থাকা অফিসটি স্থানান্তর করতে চাইছে অফিস কর্তৃপক্ষ। ঝিকরগাছা উপজেলা-পৌরসভা কার্যালয়ের সন্নিকটে অবস্থিত হওয়ায় অফিসে আসা স্থানীয় বাসিন্দারা একসাথে বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় কাজ একজায়গায় সমাধান করার সুযোগ পাচ্ছিলেন। এই অফিসকে ঘিরে গড়ে উঠেছে কম্পিউটার, ফটোকপি, মুদিখানা, ঔষধ, হোটেল, চায়ের দোকান সহ অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এই দোকানের আয় দিয়ে চলে পাশ্ববর্তী ব্যবসায়ীদের সংসার। এখন অফিস স্থানান্তরের খবরে এসকল ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম হতাশা আর উপার্জনহীন হয়ে পড়ার আতংক বিরাজ করছে।

স্থানীয় জনগন, ব্যবসায়ী, দলিল লেখক সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, বর্তমান অফিসটির চারপাশে অনেক খোলামেলা অনেক জায়গা ছিল। ফলে অনেক মানুষ একসাথে তাদের কাজ করতে পারত। এটি অফিসিয়াল এলাকা হওয়ায় স্থানীয় জনগণ অনেক ধরনের সেবা পেত। কিন্তু এখন যেখানে অফিসটি স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত হয়েছে সেটা বাজার থেকে খানিকটা দুরে আবাসিক এলাকা। সেখানে অনেক মানুষ বসবাস করে। আবাসিক এলাকায় অফিস স্থাপন না করলে ভালো হতো বলে অনেকে অভিমত ব্যক্ত করেন। কর্তৃপক্ষ জনস্বার্থে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবেন বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অফিসের ভবনের মালিক হাসিনা আক্তার বলেন, সাব-রেজিস্ট্রার অফিসটি আমার ভবনে আছে। এই অফিসের প্রয়োজনে দলিল লেখকদের বসার জায়গা, পাবলিক টয়লেট সহ বিভিন্ন স্থাপনা আমি নিজ খরচে করে দিয়েছি। কয়েক মাস পূর্বে কর্তৃপক্ষ অফিস সম্প্রসারণের কথা জানালে ইতিমধ্যে আড়াই লক্ষ টাকা খরচ করে ভবন সম্প্রসারণ করার কাজ প্রায় সমাপ্তির পথে। এখন তারা অফিস অন্যত্র স্থানান্তর করবে এই মর্মে আমাকে চিঠি দিয়েছে। তাহলে কর্তৃপক্ষ কেন আমাদেরকে এত অর্থের সর্বনাশ করালো ? আমি এর প্রতিকার চাই।

স্থানীয় কম্পিউটার কম্পোজ মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ বুলবুল ইসলাম জানান, এই অফিসকে ঘিরে প্রায় ৩০-৪০জন ব্যবসায়ী দলিল লেখা, ছবি তোলা, ফটোকপি করার কাজের সাথে জড়িত আছে। প্রত্যেকের পরিবার এই আয়ের উপর নির্ভরশীল। এখান থেকে অফিস চলে গেলে আমরা সবাই বেকার হয়ে যাবো। পরিবার পরিজন নিয়ে কি ভাবে চলবে সেই চিন্তায় আছি।

ঝিকরগাছা উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার নারায়ণ মন্ডল ছুটিতে থাকার করণে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

এবিষয়ে অফিসের মোহোরার ইকবাল কবির জাহিদ জানান, গতমাসে আইজিআর অফিস থেকে পত্র পাবার পর আমরা নতুন আর একটি ভাড়া বাড়িতে অফিস স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করেছি। তবে দুঃখের বিষয় আমরা সরকারকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় করে দিলেও আমাদের ঝিকরগাছায় সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের জন্য সরকারি নিজস্ব কোনো ভবন নেই। আবারও একটি ভাড়া বাড়িতে অফিস স্থানান্তর হচ্ছে। আমরা একটি নিজস্ব ভবন চাই।