Type to search

জেলা পরিষদ নির্বাচনে তিন চেয়ারম্যন প্রার্থী একে অপরের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধি লংঘনের অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ করলেন

নড়াইল

জেলা পরিষদ নির্বাচনে তিন চেয়ারম্যন প্রার্থী একে অপরের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধি লংঘনের অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ করলেন

নড়াইল প্রতিনিধি
নড়াইল জেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণ বিধি সংক্রান্ত সভায় আ’লীগ সমর্থিত ও
বিদ্রাহী দু’চেয়ারম্যান প্রার্থী একে অপরের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধি
লংঘনের অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ করলেন। মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের
সম্মেলন কক্ষে জেলা রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর
রহমানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)
মোঃ ফকরুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট জুবায়ের হোসেন চৌধুরী,
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) রিয়াজুল ইসলাম, সহকারী রিটানিং
কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ জসিম উদ্দিন, আ’লীগ সমর্থিত
চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডঃ সুবাস চন্দ্র বোস, আ’লীগ বিদ্রোহী চেয়ারম্যান
প্রার্থী ফয়জুল আমীর লিটু, অপর বিদ্রাহী প্রার্থী মোঃ সুলতান মাহমুদ
প্রমুখ।
জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী অ্যাডভোকেট সুবাস
চন্দ্র বোস এ সভায় আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটুর
বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলেন, লিটু যেখানেই যাচ্ছেন সেখানে আমার বিরুদ্ধে
সাম্প্রদায়িক বক্তব্য দিচ্ছেন এবং মেম্বরদেরকে পবিত্র ধর্মীয় গ্রন্থ
ছুঁইয়ে শপথ করাচ্ছেন। এছাড়া তিনি তাদের সামেন সাম্প্রদায়িক কথা দিচ্ছেন,
যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। আমার কাছে প্রমান রয়েছে। এটা কি নির্বাচন
বিধি নয় !
তবে লোহাগড়া উপজেলা আ’লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা পরিষদ
চেয়ারম্যান আ’লীগ বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী ফয়জুল আমীর লিটু সভার
বাইরে এসে সাংবাদিকদের কাছে তার বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ অস্বীকার করে
বলেন, ২৬সেপ্টেম্বর জেলা রিটার্নিং অফিসে প্রতীক বরাদ্দ অনুষ্ঠানে আমার
প্রস্তাবক-সমর্থকসহ কয়েকজনকে মারধর করা হয়েছে। এটাতো অনেক বড়ো আচরণ বিধি
লংঘন। এছাড়া তার পোষ্টার ছিড়ে ফেলা হচ্ছে এবং নির্বাচনী প্রচারণায় বাঁধা
প্রদান করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন।
এদিকে অপর বিদ্রাহী প্রার্থী মোঃ সুলতান মাহমুদ অভিযোগ করে সাংবাদিকদের
বলেছেন, আনারন প্রতীকের সুবাস চন্দ্র বোস, প্রত্যেক ইউনিয়নে গিয়ে
মেম্বরদের এক একজনকে ৪ হাজার করে টাকা দিচ্ছেন। মোট ভোটার ৫৫২জন।
প্রত্যেককে ৪ হাজার টাকা দিলে কতো টাকা হয়। এই টাকা দেওয়ার কোনো
প্রার্থীর সুযোগ আছে ? এ বক্তব্যেও কোনো প্রমান আছে কিনা জানতে চাইলে
বলেন, ভোটাররা বলেছেন। তবে টাকা দেওয়ার বিষয়টি আ’লীগ সমর্থিত প্রার্থী
সুবাস চন্দ্র বোস মিথ্যা বলে সম্পূর্ণ উড়িয়ে দেন।
এ প্রসঙ্গে জেলা রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর
রহমান, আইন সবার জন্য সমান। যদি কেউ নির্বচন বিধি লংঘন করে তাহলে তাদেও
বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সকল প্রার্থীকে ৩১টি নির্বাচন বিধির
সবগুলো মনে চলার কথা বলেন। এছাড়া ২৬সেপ্টম্বর জেলা পরিষদের দু’ সদস্য
প্রার্থীর মারামারি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকের ওপর হামলার বিষয়টি
আমরা নির্বাচন কমিশনকে অবগত করেছি। নির্বাচন কমিশন পরবর্তী সিদ্ধান্ত
নেবে।