মশক নিধন অভিযান নিয়মিত না হওয়ার অভিযোগ রোগীর স্বজনদের। এদিকে ডেঙ্গু নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে বলে জানিয়েছে সিটি করপোরেশন। করোনা মহামারিতে দিশেহারা মানুষ। এরইমধ্যে রাজধানীতে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ।
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অন্তত আড়াইশ’ রোগী। আর চলতি বছরের ১১ই জুলাই পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫শ’র বেশি রোগী। তবে এবছর এখনও ডেঙ্গুতে কারও মৃত্যু হয়নি।
কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন ৩৫ জন। আর মগবাজারের আদ-দ্বীন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ২০ রোগী। আশেপাশের অন্য হাসপাতালেও ডেঙ্গু রোগী ভর্তির হার উর্ধ্বমুখী। রোগির চাপ বাড়ায় ডেঙ্গু ইউনিট খোলার কথাও ভাবছে কোন কোন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালের সুপারিন্টেনডেন্ট ডা. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ বলেন,’ডেঙ্গু রোগীর ক্ষেত্রে আমরা প্লাটিলেট কাউন্টকে ইন্ডিকেটর হিসেবে দেখি। আমাদের প্লাটিলেট কাউন্টিং মেশিন আছে। ওটি দিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত সুপারভাইস করছি।’
বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে জানা যায়, আরামবাগ, বাসাবো, খিলগাঁও এলাকা থেকেই ডেঙ্গু রোগী আসছে বেশি। এসব এলাকায় নিয়মিত মশক নিধন অভিযান পরিচালনা হয় না বলে অভিযোগ রোগীর স্বজনদের।
এদিকে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে সিটি করপোরেশন। ডেঙ্গু নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত এই অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন উত্তরের মেয়র। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম জানান,’দায়িত্বটা কিন্তু যার বাড়ি তাকে নিতে হবে। তাহলে ৬৫ শতাংশ কমে আসবে ডেঙ্গী। ঢাকা সিটিকর্পোরেশনের প্রতিটি অঞ্চলে আমাদের চিরুনী অভিযান চলবে।’
করোনা মহামারির মধ্যে ডেঙ্গুর প্রকোপ যেন কোনভাবেই না বাড়ে সে বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছে আক্রান্তদের স্বজনেরা।সূত্র,ডিবিসি নিউজ