Type to search

জমি সংক্রান্ত জেরে নড়াইলের লোহাগড়ায় মা-মেয়েকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে যখম

অপরাধ

জমি সংক্রান্ত জেরে নড়াইলের লোহাগড়ায় মা-মেয়েকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে যখম

নড়াইল প্রতিনিধি
নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মা ও মেয়েকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) পৌরসভার মশাঘুনি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এদিন সকালে মেয়েকে পিটিয়ে আহতের কিছু সময় পর দুপুরে তার মাকে কুপিয়ে যখম করে পতিপক্ষের লোকজন।
আহতরা হলেন—পৌরসভার নিজাম শেখের স্ত্রী লাবনি আক্তার (৪৫) এবং তার মেয়ে ময়না বেগম (২৫)। আহতরা লোহাগড়া উপজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবার অভিযোগ, দীর্ঘদীন ধরে মশাঘুনি গ্রামের ভুক্তভোগী পরিবারের নিজাম শেখের সাথে একই গ্রামের নাজিম উদ্দিন দেওয়ানের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। এর জেরে বুধবার সকালে ভুক্তভোগী নাজিম শেখের বাড়িতে এসে অভিযুক্ত নাজিম দেওয়ান তার স্ত্রী বিউটি এবং ছেলে আরিফ দেওয়ানসহ আরো অজ্ঞাত ৮/৯ জন মিলে ভুক্তভোগী ময়না বেগমকে পিটিয়ে আহত করে। পরে তাকে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে তার মা লাবনি বেগম বাড়ি ফিরলে তারা আবারো এসে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে যখম করে।
ভুক্তভোগী লাবনি বেগম বলেন, নাজিম দেওয়ান ও তার স্ত্রী ছেলে মিলে প্রথমে আমার মেয়েকে পিটিয়ে আহত করে, পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে আমি বাড়ি ফিরলে আমাকে কুপিয়ে আহত করে। আমি প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার সুষ্টু বিচার চাই।
ভুক্তভোগী ময়না বেগম বলেন, সকালে আমাদের বাড়িতে এসে নাজিম উদ্দিন দেওয়ান ও তার স্ত্রী ছেলেসহ অজ্ঞাত কয়েকজন মিলে আমাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে পরে আমাকে পরিবারের লোকজন হাসপাতালে ভর্তি করে। এরপরে আমার মা বাড়িতে গেলে দুপুরে আমার মা কে ও তারা কুপিয়ে যখম করে আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
এদিকে ঘটনার পর অভিযুক্ত নাজিম উদ্দিন দেওয়ান ও নিজে মারপিটের স্বীকার হয়ে আহত হয়েছেন দাবি করে হাসপাতালে ভর্তি হন। এবং তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।
তবে অভিযুক্ত নাজিম দেওয়ানের আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির বিষয়টিকে নাটক বলে দাবি করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
এ ব্যাপারে লোহাগড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় বলেন, ঘটনা শুনেছি আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে বলা হয়েছে এবং এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।