Type to search

‘জনস্বার্থ বিরোধী’ বাজেট বৈষম্য বাড়িয়ে তুলবে: বাসদ

জেলার সংবাদ বাংলাদেশ

‘জনস্বার্থ বিরোধী’ বাজেট বৈষম্য বাড়িয়ে তুলবে: বাসদ

অপরাজেয়বাংলা ডেক্স: প্রস্তাবিত বাজেটকে সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকার প্রয়োজনের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ দাবি করে এই বাজেট প্রত্যাখান করেছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ। শনিবার (০৫ জুন) বিকাল সাড়ে ৫টায় চট্টগ্রাম নগরীর নিউমার্কেট মোড় এলাকায় সংগঠনটির নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। এ সময় নেতাকর্মীরা বলেন, গত বাজেটের চেয়ে ৩৫ হাজার কোটি টাকা এবং সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ৬৫ হাজার কোটি টাকার বেশি ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার এই বাজেট করোনাকালীন সাধারণ মানুষের জীবনমান রক্ষা ও জীবিকার নিশ্চয়তার চাইতে বৈষম্য বাড়িয়ে তুলবে। শ্রমিক, কৃষক, নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত জনগণের স্বার্থে বাজেট সংশোধনের দাবি জানান তারা।

বাসদ চট্টগ্রাম জেলার ইনচার্জ আল কাদেরী জয়ের  সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদ চট্টগ্রাম জেলার সদস্য মহিন উদ্দিন, হেলাল উদ্দিন কবির, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট চট্টগ্রাম নগর সভাপতি রায়হান উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক ঋজু লক্ষ্মী অবরোধ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, এই বাজেটে প্রয়োজন ছিল খাদ্য সরবরাহ, খাদ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা; শ্রমিক কৃষক, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমজীবীদের জীবন বাঁচাতে রেশন ব্যবস্থা চালু; শ্রমজীবীদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল ও চিকিৎসায় বরাদ্দ বাড়ানোর। যে কৃষি ও কৃষক ধান, ভুট্টা, মাছ, মাংস, সবজী, ফল উৎপাদন করে করোনাকালে দেশকে বাঁচিয়ে রেখেছে, ৪২ শতাংশ শ্রমজীবীর কর্মসংস্থান করেছে, সেখানে বরাদ্দ ও ভর্তুকি বাড়ানো দরকার ছিল। কিন্তু বাজেটে গত তিন বছরের ধারাবাহিকতায় কৃষি খাতে ভর্তুকি একই পরিমাণ রাখা হয়েছে। করোনায় আগের তুলনায় আড়াই কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে গেছে। দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ৪২ শতাংশের বেশি হয়েছে অথচ তাদের জীবন রক্ষায়, তাদের জীবীকার নিরাপত্তায় বাজেটে নেই কোনও বিশেষ বরাদ্দ ও উদ্যোগ।

তারা আরও বলেন, রাজস্ব আয় বাড়াতে গিয়ে জনগণের ওপর বাড়তি ভ্যাটের বোঝা চাপালেও করপোরেট ট্যাক্স ২.৫ শতাংশ কমিয়ে দিয়ে সরকার তার ধনিক তোষণের নীতিকে অব্যাহত রেখেছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দেশের কর্মসংস্থান ও অর্থনীতির প্রধান ভিত্তি হলেও বাজেটে ওই খাতে বরাদ্দ প্রান্তিক পর্যায়ে। বর্ধিত কৃষি ঋণের সুদ কমানোর প্রস্তাব এবারের বাজেটেও নেই। করোনায় কাজ হারানো অসংখ্য শ্রমিক, ৬ লাখের বেশি দেশে ফেরত প্রবাসী শ্রমিক, শ্রমের বাজারে আসা ২০ লাখ তরুণ যুবকের জন্য বাজেটে নেই কর্মসংস্থানের কোনও পদক্ষেপ গ্রহণের পরিকল্পনা এবং পুনর্বাসনের উদ্যোগ। সাড়ে চার কোটি শিক্ষার্থী এবং ২০ লাখের বেশি শিক্ষক করোনাকালে বিপর্যস্ত। ছাত্রদের জন্য শিক্ষা সহায়তা এবং শিক্ষকদের জন্য দুর্যোগ ভাতা প্রয়োজন থাকলেও বাজেটে তার নির্দেশনা নেই। উল্টো কালো টাকা বৈধ করার সুযোগ রাখার মধ্য দিয়ে সরকার প্রমাণ করেছে যে, দেশে কালো টাকা উৎপাদনের ব্যবস্থা বহাল আছে এবং সরকার এই কালো টাকার উৎপাদন বহাল রাখতে চায়। একদিকে বাজেটে জনগণের ওপর কর ভ্যাট বাড়ানো, অন্যদিকে ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়া লুটপাটের টাকার আইনি ও রাজনৈতিক বৈধতা দেওয়ার নিন্দা করে কালো টাকা বাজেয়াপ্ত এবং তা উদ্ধার করে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, শিল্প খাতে বরাদ্দের দাবি জানানো হয়। সূত্র,বাংলাট্রিবিউন