Type to search

চৌগাছা ছারা পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কমিটি গঠনে অনিয়মের অভিযো

অপরাধ

চৌগাছা ছারা পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কমিটি গঠনে অনিয়মের অভিযো

চৌগাছা প্রতিনিধি
যশোরের চৌগাছার ছারা পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন প্রক্রিয়ায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ৫৫ জন অভিভাবক।
১৩ মার্চ অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনের চুড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণার দিনে এই অভিযোগ করেন তাঁরা। অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা এবং উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম মোঃ রফিকুজ্জামান।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, চৌগাছা ছারা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে নিয়মিত ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন প্রক্রিয়ায় প্রধান শিক্ষক মোঃ গোলাম মোস্তফা ও প্রিজাইডিং কর্মকর্তা গোপনীয়ভাবে গত ২ মার্চ স্থানীয় একটি পত্রিকায় নির্বাচনী তফসিল প্রকাশ করেন। অভিযোগে বলা হয় পত্রিকাটি বহুল প্রচারিত নয় এবং পত্রিকাটি গত ২ মার্চ চৌগাছায় নিয়মিত পাঠকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়নি। তাছাড়া তফসিল অনুযায়ী শিক্ষার্থী ও অভিভাবক এবং স্থানীয় জনসাধারণের জ্ঞাতার্থে বহুল প্রচারের জন্য মাইকিং করা হয়নি। এমনকি শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের তফসিল অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে নোটিশে অবহিত না করে মনোনয়ন জমার পরের দিন তফসিলটি নোটিশ বোর্ডে টানানো হয়। অভিযোগে তাঁরা বলেন এ বিষয়ে অভিভাবকরা বিদ্যালয়টির বর্তমান এডহক কমিটির সভাপতি এসএম আতিয়ার রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি অভিভাবকদের বলেছেন ‘নিয়মিত ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন ও নির্বাচন প্রক্রিয়ার বিষয়ে কোন কিছু তাঁকে জানানো হয়নি। বরং মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের উপবৃত্তি সংক্রান্ত কাগজপত্রের কথা বলে প্রধান শিক্ষক তাঁর কাছ থেকে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছেন।’ এমতাবস্থায় আমরা সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে প্রহসন মূলক নির্বাচন প্রক্রিয়া বাতিল করে পুনঃনির্বাচনী তফসিল ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবক এনামুল ইসলাম মৃধা, আনিছুর রহমান, মুকুল হোসেন মৃধা, নিতাই সরকার, মনা সরদার, বাসুদের সরদার, লালন চন্দ্র সরদারসহ মোট ৫৫ জন অভিভাবক লিখিত অভিযোগে গণ স্বাক্ষর করেছেন। বিদ্যালয়ের ভোটার অভিভাবক রয়েছেন তিনশত।
চৌগাছার পত্রিকা এজেন্ট শফিকুল ইসলাম বলেন, যে পত্রিকায় বিজ্ঞাপনটি আসার কথা বলা হচ্ছে ২ মার্চ ওই পত্রিকাটি চৌগাছায় আসেইনি। প্রধান শিক্ষক হয়তবা যশোর থেকে পত্রিকা সংগ্রহ করেছেন। শহরের একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা যায়, তাঁরা বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি সংক্রান্ত কোন মাইকিং তাঁরা শোনেননি।
তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী গোলাম মোস্তফা বলেন, সকল বিধি বিধান মেনেই অভিভাবক সদস্য পদে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি।
চৌগাছা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম মোঃ রফিকুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে কিনা এবং মাইকিং করা হয়েছে কিনা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *