Type to search

চৌগাছায় ২ বেসরকারি হাসপাতাল বন্ধ করল ভ্রাম্যমাণ আদালত

অপরাধ

চৌগাছায় ২ বেসরকারি হাসপাতাল বন্ধ করল ভ্রাম্যমাণ আদালত

 

চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধিঃ

যশোরের চৌগাছায় স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযানে লাইসেন্স না থাকায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নোভা এইড ও মধুমতি প্রাইভেট হাসপাতাল নামে দুটি বেসরকারি হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া অনুমতির অতিরিক্ত রোগী ভর্তি, ভঙ্গুর অবকাঠামো, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান, সার্বক্ষণিক পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও নার্স না থাকা, হাসপাতালে ফ্রিজে ওষুধের সঙ্গে নরমাল খাবার রাখাসহ নানা অভিযোগে ৪টি বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

আজ শনিবার (২০ জানুয়ারি) বেলা দেড়টা থেকে ৩টা পর্যন্ত চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের এসব বেসরকারি হাসপাতালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুস্মিতা সাহার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এই শাস্তি দেওয়া হয়।

এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোছা. লুৎফুন্নাহার লাকি, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. আল ইমরান, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর নিয়ামত আলীসহ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা ছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, আদালত পরিচালনাকালে স্বাস্থ্য বিভাগের বেসরকারি হাসপাতাল পরিচালনা লাইসেন্স নবায়ন না থাকায় ও লাইসোজ অনুপাতে বেড বেশি প্রশিক্ষণ নার্স না থাকাই নোভা এইড হাসপাতাল ও মধুমতি প্রাইভেট হাসপাতাল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে নোভা এইডে ২০ শয্যার অনুমতি নিয়ে ১৬টি বেড এবং ১০টি কেবিন পরিচালনাসহ অধিক সংখ্যক শয্যা পরিচালনা করা, অভিযানকালে সার্বক্ষণিক চিকিৎসক ও নার্স না থাকা, হাসপাতালের ফ্রিজে ওষুধের পাশাপাশি নরমাল খাবার রাখার অভিযোগে ৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং মধুমতি হাসপাতালে ১০ শয্যার অনুমতি নিয়ে অধিক শয্যা পরিচালনা করা, সার্বক্ষণিক চিকিৎসক ও নার্স না থাকায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এ ছাড়া পল্লবী ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ১০ শয্যার অনুমতি নিয়ে ১৫-১৬টি শয্যা পরিচালনা করা, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে চিকিৎসা প্রদান, সার্বক্ষণিক চিকিৎসক ও নার্স না থাকার অভিযোগে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং মায়ের দোয়া প্রাইভেট হাসপাতালে ভঙ্গুর অবকাঠামো, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে চিকিৎসা প্রদান, ১০ শয্যার অনুমতি নিয়ে অধিক শয্যা পরিচালনা করা, চিকিৎসা প্রদানের হিসাব না দিতে পারায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ধধআদালত সূত্র জানায়, অভিযানকালে প্রায় সব কটি হাসপাতালের ফ্রিজেই দেখা গেছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধের সঙ্গে সাধারণ খাবার রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোছা. লুৎফুন্নাহার বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মহোদয়ের কঠোর নির্দেশনার আলোকে স্বাস্থ্য বিভাগ শনিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে এসব বেসরকারি ক্লিনিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় হাসপাতালগুলোতে নানা অনিয়ম দেখা যায়। লাইসেন্স নবায়ন না থাকায় দুটি হাসপাতাল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ এবং চারটির কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুস্মিতা সাহা বলেন, অভিযানে দুটি বেসরকারি হাসপাতাল বন্ধ এবং চারটির কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হয়েছে। তিনি বলেন এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।