Type to search

চৌগাছায় হাতি দিয়ে চাঁদাবাজিতে অতিষ্ট ব্যবসায়ীরা

চৌগাছা

চৌগাছায় হাতি দিয়ে চাঁদাবাজিতে অতিষ্ট ব্যবসায়ীরা

শ্যামল দত্ত(যশোর) চৌগাছা থেকেঃ
যশোরের চৌগাছায় প্রতিনিয়তই হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি করছে সার্কাসের মাউথরা। এসব সার্কাস দলের মাউথরা বিভিন্ন স্থানে সার্কাস দেখানোর ফাঁকে প্রায়ই চৌগাছা শহরে এভাবে চাঁদাবাজি করে থাকে বলে অভিযোগ। এতে চৌগাছা বাজারের হাজারের অধিক ব্যবসায়ীরা অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন।
সরেজমিনে দেখা যায় হাতি নিয়ে শহরের দোকানে দোকানে চাঁদাবাজি করে বেড়ানোর সময় কোন দোকানি চাঁদা দিতে না চাইলে হাতি দিয়ে বিভিন্নভাবে তাঁদের ভয় দেখানো হয়। বিশেষ করে দোকানে নারী ও শিশু ক্রেতা থাকলে দোকানের সামনে হাতি দাড় করিয়ে হাতি দিয়ে ডাকানো হয়। হাতির হুংকারে নারী ও শিশুরা ভয় পাবার কারনে বাধ্য হয়ে টাকা দেন দোকানীরা।
এদিকে হাতি নিয়ে প্রকাশ্যে রাজপথে এভাবে চাঁদাবাজিকালে শহরের রাস্তায় থাকা নারী ও শিশু এমনকি পুরুষরাও ভয়ে পালিয়ে এ দোকান ও দোকানে ঢুকে পড়েন। তবে কেউ বাধা দিতে সাহস পান না।
বুধবার দুপুরে এভাবে একটি হাতি নিয়ে দোকানে দোকানে চাঁদা তুলছিলেন হাতির এক মাউথ। তবে বারবার জানতে চাইলেও তিনি তাঁর নাম বলেন নি। জানতে চাইলে তিনি বলেন খুলনায় সার্কাস দেখাতে যাচ্ছেন। এসেছেন জয়পুরহাট থেকে। জয়পুরহাট থেকে খুলনায় যাচ্ছেন প্রধান সড়ক দিয়ে না গিয়ে চৌগাছায় এভাবে চাঁদা তুলছেন কেন জিজ্ঞাসার জবাবে তিনি বলেন, ‘যারা ইচ্ছা করে দিচ্ছেন তাঁদের কাছ থেকে নিচ্ছি।’
তবে বিষয়টি মিথ্যা দাবি করেছেন বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী। তাঁরা বলেন এরা মিথ্যা বলে। প্রায়ই এরা এভাবে এসে চাঁদাবাজি করে থাকে। ১০ থেকে ১০০টাকা পর্যন্ত না দিলে তাঁরা দোকানের সামনে থেকে হাতি সরায় না। বাজারের ব্যবসায়ীরা বলেন, প্রায়ই এরা হাতি নিয়ে বাজারে দোকানিদের একপ্রকার জিম্মি করে টাকা আদায় করে থাকে। এমনকি সপ্তাহান্তে একবারও অনেক সময় এরা এসে থাকে। ভয়ে বাজারে আসা নারী শিশুসহ মানুষ পালিয়ে বিভিন্ন মার্কেটে ঢুকে পড়ে। টাকা না দিলে এরা দোকানের সামনে হাতি দাড় করিয়ে রাখে। বাধ্য হয়ে এদের টাকা দিতে হয়। বাজারের এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, এভাবে বন্যপ্রাণি দিয়ে ভয় দেখিয়ে মানুষের কাছ থেকে টাকা আদায় অন্যায়। প্রশাসনকে এসব বিষয়ে নজর দেয়া উচিৎ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *