Type to search

চৌগাছায় প্রচন্ড শীতে গরুর খামারে রোগের প্রাদুর্ভাব খামারীরা হতাশ

যশোর

চৌগাছায় প্রচন্ড শীতে গরুর খামারে রোগের প্রাদুর্ভাব খামারীরা হতাশ

শ্যমল দত্ত চৌগাছা (যশোর) থেকে \ যশোরের চৌগাছা উপজেলায় ব্যপক ভাবে গড়ে উঠেছে গরুর খামার । চলতি বছরে আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় গরুর খামারে বিভিন্ন রোগের উপসর্গ দেখা দিয়েছে বলে খামারীরা জানান । জানাগেছে, উপজেলার ১১ টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় বাজ্যিক ভাবে গরু চাষ করছে খামারীরা। খড়িঞ্চা,দেবলয়,সাঞ্চডাঙ্গা,চাঁদপাড়া,বর্নী,রামকৃষœপুর,আন্দুলিয়া,আড়শিংড়ী,সুখপুকুরিয়া ,কুলিয়া,মাকাপুর,বল্লভপুর,নাইড়া,গয়ড়া,হিজলী,কমলাপুর,মাধবপুর, পুকুরিয়া,পুড়াপাড়া,দেবলয়,মাধবপুর,পাতিবিলা,সলুয়া,রায়নগর,চারাবাড়ি,সিংহাঝুলি,কান্দি,আড়পাড়া,কয়ারপাড়া,চাঁদপাড়া,নারায়নপুর,ভগোবানপুর ,বাদেখানপুর,পেটভরা,হাজরাখানা, আন্দারকোটা ,বহিলাপোতা, বাঘারদাঁড়ি, জিওলগাড়ি, মাশিলা, স্বরুপদাহ,জগদেশপুর ,পাশাপোল ,কাঁদবিলা, জগদেশপুর, কাঁন্দি, মাড়–য়া, আড়পাড়া, ঝিনাইকুন্ডা, গরীবপুর, রাজাপুর,ফতেপুর,ধুলিয়ানি সহ সকল গ্রামে বেকার যুবকেরা সরকারি ,আধা সরকারি, এন,জি,ও চালিত ব্যাংক ্ঋণ নিয়ে গবাদি পশুর খামার গড়ে তুলছে। এখানকার গরু স্থানীয় চাহিদা মেটায়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানি করা হয়।গুরু মোটা তাজা করণের চলছে প্রক্রিয়া। গবাদি পশুর অন্যতম প্রধান সমস্য হলো বিভিন্ন ধরণের সংক্রমণ। কৃমির কারণে এলাকায় প্রতি বছর বহু সংখ্যক গবাদি পশুর স্বাস্থ্যহানি ঘটে উৎপাদন ও প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পায়। কৃমি আক্রন্ত দূর্বল গবাদি পশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় জীবানুঘটিত সংক্রমণের সম্ভবনা বেড়ে যায়। ফলে খামারীগণ মারাত্মক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন। সকল পর্যয়ে অন্তঃকৃমি ,কলিজা কৃমি,গোলকৃমি,ফুসফুসের কৃমি,হাম্পসোর কৃমি, বহিঃ কৃমি,ষ্টক সহ প্রচন্ড শীতে গলা ফোলা,জ্বর,ও বিভিন্ন রোগের উপসর্গ দেখা দিয়েছে। খামারীরা রোগ নির্নয় করতে না পারায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে অনেক চাষীরা জানান। আড়শিংড়ী গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম বলেন গত বছর ৩টি গরু ছিল খরচ বাদ দিয়ে ১লাখ টাকা লাভ হয়েছিল, বর্তমান ৪টি গরু আছে। শীত কেটে গেলে আবওহায়া অনুকূলে আসলে আশা করা যায় ভাল হবে। আন্দুলিয়া গ্রামের ফিরোজ হোসেন বলেন ৫ টি গরু আছে রোগ বালাই না হলে আশা করা যায় লাভবান হওয়া যাবে। রামকৃষœপুর গ্রামের আব্দুস সোবহান বলেন আমার খামারে ২০ টি গরু আছে আরো ক্রয় করবো তবে প্রতি গ্রামে গ্রামে যদি খামারীদের নিয়ে গরুর বিভিন্ন রোগের সভা সেমিনার করা হয় তাহলে ভাল হয়। এই ব্যাপারে উপজেলা পশু হসপাতাল সূত্রে জানায় আমরা খামারীদের মোবাইল ফোন, ফিল্ডে গিয়ে পরিদর্শন সহ বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দিয়ে থাকি। বর্তমান শীতের কারণে সমস্যা দেখা গেলেও তা তাড়াতাড়ি কেটে যাবে।