Type to search

চৌগাছায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রাণ হারালো যুবক, অভিযুক্ত বাবা-মাসহ ছোটভাই গ্রেপ্তার

চৌগাছা

চৌগাছায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রাণ হারালো যুবক, অভিযুক্ত বাবা-মাসহ ছোটভাই গ্রেপ্তার

শ্যামল দত্ত চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধিঃ

যশোরের চৌগাছায় তুচ্ছ ঘটনায় ছোট ভাই, মা ও বাবার মারপিটে রেজাউল ইসলাম ওরফে সাইমন (২৩) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় ছোটভাই ইসরাফিল হোসেন ওরফে মনি (১৭), বাবা আয়তাল হক (৫০) এবং মা সালেহা বেগমকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে চৌগাছা থানা পুলিশ। তারা সকলেই উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের বড়খানপুর ঢাকাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। নিহত রেজাউল দেড় বছর বয়সী এক কন্যা সন্তানের জনক। সোমবার (৪ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭টায় নিহতের নিজ বাড়িতে মারপিটের ঘটনা ঘটে। বিকেলে পার্শ্ববর্তী কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেজাউলকে ভর্তি করা হয়। সেখানে মঙ্গলবার (৫ ফ্রেব্রুয়ারি) রাত ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়। নিহতের স্ত্রী সুমি খাতুন এবং রেজাউলের চাচা আয়নাল হক জানান, সোমবার সকাল ৭টার দিকে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি শুরু হলে খোলা জায়গা থেকে লাকড়ি (জ্বালানির জন্য গাছের ডালপালা) ঘরে তোলা নিয়ে নিহত রেজাউলের স্ত্রী সুমি খাতুন ও শাশুড়ি সালেহা বেগমের মধ্যে বাক-বিতন্ডা (ঝগড়া) হয়। এই বিতন্ডাকে কেন্দ্র করে নিহত রেজাউল এবং তার ছোট ভাই ইসরাফিল’র মাঝে হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে ছোট ভাই ইসরাফিল ওরফে মনি, মা সালেহা বেগম ও বাবা আয়তাল হক একত্রে রেজাউলকে লাঠি দিয়ে মারপিট করে। এতে রেজাউল অসুস্থ হয়ে পড়লে বড়খানপুর বাজারের গ্রাম চিকিৎসক আব্দুস সালামকে ডেকে এনে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে রেজাউলের অবস্থার অবনতি হলে বিকেল ৫টার দিকে ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি তাকে করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (৫ফেব্রুয়ারি) রাত ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়। ঘটনার সংবাদ পেয়ে চৌগাছা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রেজাউলের পিতা আয়তাল হক এবং কোটচাঁদপুর থানা পুলিশের মাধ্যমে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রেজাউলের মা সালেহা বেগমকে আটক করে। তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। স্বীকারোক্তি ও বাবা-মা’য়ের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতের হত্যায় প্রধান অভিযুক্ত ছোটভাই ইসরাফিল হোসেন মনিকে চৌগাছা কামিল মাদরাসা পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইসরাফিল উপজেলার গুয়াতলী মাকানুচ্ছুন্নাহ দাখিল মাদরাসা থেকে দাখিল পরীক্ষার্থী হিসেবে চৌগাছা কামিল মাদরাসা কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছিলো। পরীক্ষা কেন্দ্রে পুলিশ অপেক্ষা করে পরীক্ষা শেষ হলে দুপুর একটায় তাকে গ্রেপ্তার করে। চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত নিহতের ছোটভাই ইসরাফিল, বাবা আয়তাল হক ও মা সালেহা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন।