Type to search

চৌগাছায় কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার

চৌগাছা

চৌগাছায় কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার

 

চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি: যশোরের চৌগাছায় এক কিশোরী স্কুল ছাত্রী (১৭) অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগে রিয়াবুল ইসলাম (৩৫) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রিয়াবুল উপজেলার সিংহঝুলি ইউনিয়নের মাজালী গ্রামের বাসিন্দা। আর মেয়েটি উপজেলার অন্য একটি ইউনিয়নের একটি গ্রামের বাসিন্দা ও গ্রামের পাশর্^বর্তী একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী।
অপহরণ করে বিয়ের প্রলোভনে জোরপূর্বক ধর্ষণের দু’দিন পর মেয়েটি পালিয়ে একটি চা’য়ের দোকানে গিয়ে দোকানিসহ লোকজনকে জানালে তাঁরা ইউপি সদস্যর মাধ্যমে তাঁকে উদ্ধার করেন। পরে মেয়েটির স্বজনরা চৌগাছা থানায় জানালে ওসি সাইফুল ইসলাম সবুজের নেতৃত্বে পুলিশ সোমবার গভীর রাতে ধর্ষক রিয়াবুলকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় কিশোরীর চাচা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রিয়াবুল ও তাঁর মা’কে আসামী করে মামলা করেছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে রিয়াবুল এর আগেও ৬টি বিয়ে করেছেন।
চৌগাছা থানায় লিখিত অভিযোগে মেয়েটির চাচা বলেন, আমার বড় ভাই প্রবাসী শ্রমিক। চার বছর আগে তাঁর প্রথম স্ত্রী (ধর্ষিতা মেয়েটির মা) মারা যায়। এরপর আমার ভাই আবার বিয়ে করেন। সৎ মায়ের সংসারে অবহেলার স্বীকার মেয়েটিকে রিয়াবুল মিথ্যা প্রলোভন ও কু-প্রস্তাব দিয়ে কৌশলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে রিয়াবুল। গত ২ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাত সাড়ে আটটার দিকে গ্রামের রাস্তা থেকে তাঁকে নিজ বাড়ি মাজালী গ্রামে নিয়ে যায় এবং তাঁর (রিয়াবুলের) মা’র সহায়তায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মেয়েটির ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। ২ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিজের বাড়িতে আটকে রেখে তাঁকে (মেয়েটিকে) ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ করে রিয়াবুল। মেয়েটি যেন চিৎকার না করে এজন্য বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখায় ও হুমকি দেয়। এসব কাজে তাঁর (রিয়াবুলের) মা সহযোগিতা করেন। গত ৫ সেপ্টেম্বর (রবিবার) রাত সাড়ে নয়টার দিকে মেয়েটি সুযোগ পেয়ে আসামীদের বাড়ির সামান্য দূরে খায়রুল ইসলাম সেন্টুর চা’য়ের দোকানে যেয়ে বিষয়টি জানালে তাঁরা স্থানীয় ইউপি সদস্য খন্দকার আসাদুল হক বাবুলকে জানান।
মেয়েটির চাচা লিখিত অভিযোগে আরও বলেন, ‘মেম্বারের কাছ থেকে মুঠোফোনে জানতে পেরে ভাতিজিকে নিজ জিম্মায় নিয়ে মান সম্মানের ভয়ে বাড়ি নিয়ে যাই। প্রথমে ভয়ে ও মানসিকভাবে বিধস্ত থাকায় মেয়েটি আমাদের কিছু জানাইনি। বাড়িতে যেয়ে মানসিকভাবে কিছুটা সুস্থ হয়ে ঘটনা খুলে বলে। তখনও লোকলজ্জায় ও আত্মসম্মানের কারনে থানায় বা আদালতে আমরা কোন অভিযোগ করিনি। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে পরামর্শ করে পুলিশের সহায়তায় আসামীকে আটকের পর থানায় এসে অভিযোগ করতে দেরি হয়।’
স্থানীয়রা জানান, অভিযুক্ত রিয়াবুল বিভিন্ন সময় বাস, ট্রাকের শ্রমিকের কাজ করে। সে এর আগেও বিভিন্ন প্রলোভন দেভিয়ে ছয়টি বিয়ে করেছে। তবে একটি স্ত্রীও তাঁর বাড়িতে নেই। সবাই পরে বুঝতে পেরে তাঁকে ছেড়ে গেছে।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম সবুজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় রিয়াবুলকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার দুপুরে যশোর আদালতে পাঠানো হয়েছে।