Type to search

চৌগাছায় আগাছা নাশক খেয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু, যুবক গুরুতর

চৌগাছা

চৌগাছায় আগাছা নাশক খেয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু, যুবক গুরুতর

 

চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি
যশোরের চৌগাছায় সানারুদ্দিন (৬০) নামে এক বৃদ্ধ কৃষক আগাছা নাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়নের হাজরাখানা গ্রামের বাসিন্দা। এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে আগাছা নাশক খেয়ে আত্মহত্যা চেষ্টা করে গুরুতর অবস্থায় যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন শামীম হোসেন (২৫) নামে আরেক যুবক। শামীম উপজেলার স্বরুপদাহ ইউনিয়নের খড়িঞ্চা নওদাপাড়া (দানবাক্স) গ্রামের কবীর হোসেনের ছেলে।
বুধবার বিকেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে তাঁকে উদ্ধার করে বিকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে চিকিৎসক তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
পুলিশ, স্বজন, হাসপাতাল ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান মিলনের সাথে কথা বলে জানা যায়, পারিবারিক কলহের জেরে বুধবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে বাড়ির পাশেই তিনি আগাছা নাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি বুঝতে পেরে স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার করে তাঁকে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। হাসপাতালে ওয়াশের পর প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বেডে দেয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাঁকে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মুঠোফোনে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মনিরুজ্জামান মিলন বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া চলছে। আমরা এখন যশোর কোতয়ালী থানায় অবস্থান করছি। ময়নাতদন্ত শেষে গ্রামে নিয়ে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
অন্যদিকে পারিবারিক কলহে বৃহস্পতিবার সকালে আগাছা নাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে শামীম হোসেন (২৫)। চৌগাছা হাসপাতালে স্বজনরা জানান, ছোট বেলায় শামীমসহ দুই সন্তান রেখে অনত্র বিয়ে করেন তাঁর মা। এরপর বাবা অন্য আরেকজনকে বিয়ে করেন। সৎ মায়ের সংসারে দিন মজুরী, মাঝে মাঝে পরিবহন শ্রমিকের কাজ করতো শামীম। পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়ে কলহের জেরে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে বাড়ির অদূরে সবার অগোচরে আগাছা নাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেস্টা করেন। পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি বুঝতে পেরে স্থানীয়দের সহায়তায় তাঁকে উদ্ধার করে বেলা ১০টার সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। হাসপাতালে ওয়াশ করার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। বিকাল তিনটার সময় মুঠোফোনে তাঁর চাচা ওমর ফারুক বলেন, শামীমের অবস্থা একই আছে। তাঁকে স্যালাইন দিয়ে রাখা হয়েছে।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম সবুজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *