Type to search

চৌগাছায় শিক্ষিকার থাপ্পড়ে কানের পর্দা ফেটেছে স্কুল ছাত্রী পান্নার

নড়াইল

চৌগাছায় শিক্ষিকার থাপ্পড়ে কানের পর্দা ফেটেছে স্কুল ছাত্রী পান্নার

শ্যামল দত্ত (যশোর) চৌগাছা থেকে ঃ

শিক্ষিকার থাপ্পড়ে কানের পর্দা ফেটেছে ৫ম শ্রেণিতে পড়ুয়া পান্না নামের এক ছাত্রীর। শ্রেণি কক্ষ পরিষ্কার না করার অভিযোগে বিদ্যালয়েল সহকারি শিক্ষিকা নার্গীস পারভীন তাকে থাপ্পড় মারেন।

ঘটনাটি ঘটেছে ৬ নভেম্বর রোববার যশোরের চৌগাছা উপজেলার বহিলাপুতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ঘটনাটি ৬ নভেম্বর ঘটলেও শিক্ষার্থীর মা ৮ নভেম্বর পান্না খাতুনকে উপজেলা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর পরে বিষয়টি লোক মুখে ছড়িয়ে পড়ে।

মঙ্গলবার ওই শিক্ষার্থীর মা যশোর জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের অনুলিপি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য যশোরের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে দিয়েছেন।

লিখিত অভিযোগ পেয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছেন।

তদন্তকালে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক নারগিস পারভীন একটি থাপ্পড় মেরেছেন বলে স্বীকার করেছেন। এতে কান ফেটে গিয়েছে কিনা তিনি জানেনা বলে জানান।

লিখিত অভিযোগে শিক্ষার্থীর মা এবং লিখিত স্বাক্ষ্যে শিক্ষার্থী পান্না খাতুন বলে, গত রোববার (৬নভেম্বর) দুপুরে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুর রহমান ওই বিদ্যালয় পরিদর্শনে যান। তিনি যখন অফিসে বসে প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলছিলেন তখন সহকারী শিক্ষক নারগিস পারভীন ওই শিক্ষার্থীকে একটি সিড়ি ঘর ঝাড়ু দিতে বলেন ঝাড়ু না দেয়ায় পান্নাকে ডেকে শিক্ষক নার্গিস পারভীন বাম কানে তিনটি থাপ্পড় মারেন। এতে পান্নার কনের পর্দা ফেটে যায়

পরে মেয়েটি বাড়ি গেলে সন্ধার গায়ে জ্বর এবং কানে জ্বালা করলে তার মায়ের মাথে বিষয়টি বলে। পরের দিন মঙ্গলবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সেখানকার ডাক্তার আকিব হোসেন তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন এবং বলেন কানের পাতলা পর্দ ফেঁটে যেতে পারে। সেখানে পানি জমে রয়েছে। এরপর মেয়েটি ও তার মা এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেন

এ বিষয়ে ডাক্তার আকিব বলেন, মেয়েটি কানের পর্দা ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কানের মধ্যে পানি জমে রয়েছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হবে। তিনি নির্দেশ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *