Type to search

চার বছরে ১ লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গা শিশুর জন্ম হয়েছে ক্যাম্পে

জেলার সংবাদ বাংলাদেশ

চার বছরে ১ লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গা শিশুর জন্ম হয়েছে ক্যাম্পে

অপরাজেয়বাংলা ডেক্স: কক্সবাজারের ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা সাড়ে ১১ লাখের বেশি। এসব ক্যাম্পে হাজার হাজার শিশু জন্ম নেয়ায় এ সংখ্যা আরো বেড়েছে।

ইউএনএইচসিআরের তথ্য বলছে, গেল ৪ বছরে সেখানে জন্ম নিয়েছে অন্তত ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি শিশু। এখন অন্তঃস্বত্ত্বা ২৫ হাজারের বেশি। স্বাস্থ্যকর্মী ও জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, পরিবার-পরিকল্পনা সম্পর্কে অনাগ্রহ অজ্ঞতা ও কু-সংস্কারের কারণে শিশু জন্মের হার বাড়ছে।

উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের কুতুপালং ক্যাম্প। সাত সন্তান ও স্ত্রীসহ ৯ জনের পরিবার নিয়ে নুর কবির ৪ বছর ধরে বসবাস করছেন এই ক্যাম্পে। শুধু নুর কবির নন, উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্পের বেশিরভাগ রোহিঙ্গা পরিবারেই সন্তান পাঁচের বেশি। এরপরও আরো সন্তান নিতে আগ্রহী তারা।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের তথ্য মতে, বর্তমানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে অন্তস্বত্ত্বা নারী ২৫ হাজারের বেশি।  স্বাস্থ্যকর্মী ও জনপ্রতিনিধিরা বলছেন- অজ্ঞতা, কুসংস্কার ও এনজিও থেকে সুযোগ-সুবিধা পেতে সন্তান জন্মদানে উৎসাহের কমতি নেই।

পার্টনার্স ইন হেলথ এন্ড ডেভেলপমেন্টের নার্স সোনিয়া আক্তার বলেন, তারা মনে করে এটা আল্লাহ দিচ্ছে। তারা যদি এর বিরোধীতা করে কোন চিকিৎসা নেয় তাহলে সেটা পাপ হবে। অনেক নারীরাই চিকিৎসা নিতে চায় কিন্তু তাদের পরিবার থেকে বাধা দেয়া হয়।

রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দিন বলেন, সরকার এবং বিভিন্ন এনজিওগুলো তাদের যেসব সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে এসব কারণে তাদের জন্ম নিয়ন্ত্রণে কোন আগ্রহ নেই। তাদের দিন দিন সন্তান নেয়ার প্রবণতা আরও বেড়ে যাচ্ছে।

জন্ম নিয়ন্ত্রণে সবার সহযোগিতা নিয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজ করা হচ্ছে বলে জানান, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ্ রেজওয়ান হায়াত। তিনি বলেন, পরিবার পরিকল্পনা এবং জন্ম নিয়ন্ত্রণ বিষয়টি আমরা আরও বিস্তৃত এবং সক্রিয় করেছি। আমরা আশা করছি এর থেকে আমরা ভালো ফলাফল পাবো।

রোহিঙ্গাদের চাপে এমনিতেই নানা সংকটের মুখে বাংলাদেশ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জন্ম নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে হাজার হাজার নতুন মুখের খাদ্য সংস্থানের পাশাপাশি, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন আরও জটিল হবে।সূত্র,ডিবিসি নিউজ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *