Type to search

গল্প : ভয়ঙ্কর এক কালো রাত

সাহিত্য

গল্প : ভয়ঙ্কর এক কালো রাত

বিলাল মাহিনী

ঝড়োরাত! কোন এক বন্ধুর বাসায় বেড়াতে গিয়ে ঝড়বৃষ্টি’র মধ্যে আর বের হতে পারিনি আকাশ ও তার বান্ধবী আনিসা। যাইহোক আনিসাকে নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় ছিল আকাশ। আনিসা বান্ধবীর বাসায় আছেÑএটা বলে পার পেলো মায়ের কাছে। গভীর রাত। চারিদিকে অন্ধকার। ঝড়ের তোড়ে বিদ্যুৎও নেই এশার পর থেকে। হঠাৎ চার জন পুরুষ হুড়মুড় করে ঘরে ঢুকে পড়লো। রাফি’র বাবার পরিচিত, বললো তারা। আকাশ আর রাফি এক রুমে ঘুমিয়েছিলো।

অন্য রুমে আনিসা ও রাফির মা। আর একটি রুমে ঐ চারজন আধবয়সী পুরুষ। ঝড়বৃষ্টির রাত, তাই তাদের চলে যেতে বলতে পারিনি কেউ। রাত যখন দুপুর, তখন হঠাৎ ঐ চারজনের একজন অপর ঘুমন্ত তিন জনের একজনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করলো। পাশের রুম থেকে আনিসা কিছুটা আচ করতে পেরেছিলো। ভোররাতে বাথরুমে যাবে বলে বাইরে বের হলো হত্যাকারী। এবং পালিয়ে গেল।

সকালে যখন সব জানাজানি হলো, তখন পুলিশ এলো। মৃতব্যক্তি ব্যতিত বাকি সকলকে জিজ্ঞাসাবাদ করলো। আগন্তুক দুইজন ও সন্দেহভাজন হিসেবে আকাশ ও রাফিকে থানায় নিয়ে গেলো। মামলার নথিতে আকাশ ও রাফিকে সন্দেহভাজন আসামি করা হলো। তবে তাদেরকে আগাম জামিন দিয়ে পুলিশি নজরদারিতে রাখা হলো। …
প্রকৃত খুনীকে ধরতে পুলিশ অভিযান চালালো। বেনাপোল সীমান্ত থেকে তাকে আটক করা হলো। ঘটনার সত্যতা জানা গেল। ঐ চার জনই ছিলো নেশাগ্রস্থ। মাঝেমধ্যে চুরি-চামারিও করতো। একাধিক মামলাও আছে খুনীর নামে। নাম পাল্টে আত্মগোপনে ঘাটে কার্গো থেকে মালামাল লোড আনলোড করতো তারা। একাধিক পরকীয়া প্রেম ছিলো খুনীর। প্রেম-পরকীয়া ও চুরির নানা বিষয় নিহত ব্যক্তি জানতো। সে আবার সব ফাঁস করে দেয় কি-না, এই ভয়ে নেশাগ্রস্থ খুনী তাকে হত্যা করে।

দীর্ঘ দু’মাস পুলিশি নজরদারিতে থাকার পর মামলার সন্দেহভাজন আসামি থেকে রেহাই পেলো রাফি ও আকাশ। দীর্ঘ দু’মাস যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় আকাশের বান্ধবী আনিসাকে এক প্রবাসী সাথে বিয়ে দিয়ে দেয় তার পরিবার। আকাশ বিরহী নয়নে আকাশের দিকে চেয়ে থাকে…। এরই মধ্যে আযান ও মায়ের ডাকে ঘুম ভাঙ্গে গল্পকারের।