Type to search

খালেদা জিয়ার ৬টি জন্মদিন, এটি বড় তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়: ওবায়দুল কাদের

জাতীয়

খালেদা জিয়ার ৬টি জন্মদিন, এটি বড় তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়: ওবায়দুল কাদের

অপরাজেয়বাংলা ডেক্স: গণটিকা কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও সরবরাহ নিয়ে কথা উঠছে তা গ্রহণযোগ্য নয় [৩] আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপি মহাসচিবের কাছে জানতে চান আপনারা কর্মসূচি পরিবর্তন করেছেন। কিন্তু খালেদা জিয়ার ভুয়া জন্মদিনের কর্মসূচিতো রয়েই গেল? এর শেষ কোথায় তাও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে জানতে চান তিনি।

 পরাজিত ও প্রতিক্রিয়াশীল চক্রের উদ্দেশে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ উদার গণতন্ত্র এবং রাজনীতিতে বিশ্বাসী। তাই এতো রক্তঘাতের পরেও এদেশে আপনারা রাজনীতি করার সুযোগ পাচ্ছেন।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর রাজনৈতিক ইতিহাসের সবচেয়ে নিষ্ঠুরতম হত্যাকাÐ ১৫ আগস্ট। রক্তাক্ত বিশ্বাসঘাতকতায় কালিমালিপ্ত অধ্যায় পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট। ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাযজ্ঞ ঘটিয়ে প্রতিক্রিয়াশীল চক্র থেমে থাকেনি। তারা তিন নভেম্বর জাতিকে নেতৃত্বশূণ্য করতে কারাভ্যন্তরে হত্যা করেছিলো জাতীয় চার নেতাকে। এরপর ষড়যন্ত্রে পেয়েছে নবরূপ। পরবর্তীতে প্রকাশ্য দিবালোকে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিলো সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকার করোনার শুরু থেকেই নানা সীমাবদ্ধতা নিয়েই সংকট মোকাবেলা করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী দূরদর্শী নেতৃত্বে প্রথম ঢেউ মোকাবেলা করেন। দ্বিতীয় ঢেউ এ জীবন ও জীবিকার মধ্যে ভারসাম্যমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার মাধ্যমে তিনি এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছেন। বিভিন্ন দেশ ও উৎস থেকে টিকা আসছে। আগামী ছয় মাস টিকা আসা অব্যাহত থাকবে।

 মন্ত্রী বলেন, গণটিকা কার্যক্রমে জনমানুষের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। কিন্তু কেউ কেউ গণটিকা গ্রহণে জনগণের এ আগ্রহ ভালো চোখে দেখছে না। তারা এ নিয়ে সত্য-মিথ্যার বেসাতি করে ইস্যু খোঁজার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। গণটিকা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। টিকা নিয়ে কোনো সংকট নেই, আগামীতেও হবে না।

তিনি বলেন, চিকিৎসক সমাজকে মানবসেবার ব্রত নিয়ে মানুষের পাশে থাকা অব্যাহত রাখুন। একজন অসহায় মানুষের রোগমুক্তি হলে এবং খেটে খাওয়া মানুষ খেতে পারলে বঙ্গবন্ধুর আত্মা শান্তি পাবে।

শনিবার জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শরফুদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, সাবেক মন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, বিএমএ’র সভাপতি ডাক্তার মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাচিপের সভাপতি ডাক্তার ইকবাল আর্সেনাল, সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার এমএ আজিজ, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার রোকেয়া সুলতানা প্রমুখ।সূত্র,আমাদের সময়.কম