Type to search

কেশবপুরে নতুন করে আরো ৪ জনসহ ১৩ জন করোনায় আক্রান্ত হলো  

যশোর

কেশবপুরে নতুন করে আরো ৪ জনসহ ১৩ জন করোনায় আক্রান্ত হলো  

জাহিদ আবেদীন বাবু, কেশবপুর ( যশোর) থেকে::

যশোরের কেশবপুর উপজেলায় করোনা ভসইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। শনিবার নতুন করে আরো ৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এনিয়ে উপজেলায় ৩০ জনের দেহে করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয় । এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৩ জন। ১৭ জনকে আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত ৩১২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনিবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আলমগীর হোসেন। তিনি আরও বলেন, গত ৩১ মার্চ এ উপজেলায় প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়।

করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের ভেতর কেশবপুর পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও তার স্ত্রী একই হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপকও রয়েছেন। কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১১ জন। তাদের মধ্যে ডাক্তার দু’জন, নার্স ৩ জন, স্যাকমো দুই জন, স্বাস্থ্য সহকারী দুই জন, ইউনিয়ন প্রভাইডার এক জন ও টিএলসিএ এক জন। এছাড়া কেশবপুর থানার দু’জন। তাদের মধ্যে একজন এএসআই, অন্যজন কনস্টেবল। ইতিমধ্যে যশোর সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে ১৫ জুন কোভিড-১৯ মোকাবিলায় এক জরুরী সভায় কেশবপুর পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের কেশবপুর ও ভোগতিনরেন্দ্রপুর (পূর্বাংশ) এলাকা রেড জোনের আওতায় এনে লকডাউন করা হয়েছে । শুক্রবার বিকেল থেকে লকডাউন কার্যকর করেছে উপজেলা প্রশাসন।

এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইরুফা সুলতানা জানান, সংক্রমণ রোধ করতে কঠোর লকডাউন কার্যকর করা হচ্ছে।

এদিকে কেশবপুর পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডকে সম্পূর্ন লকডাউন করায় জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কারণ করোনায় আক্রান্ত ডাক্তার দম্পতির বাসভবন কেশবপুর পৌরসভার ১নং কেশবপুর ওয়ার্ডে একেবারে পশ্চিম দিকের শেষ প্রান্তে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশে অবস্থিত। ঐ ডাক্তার দম্পতির বাসভবনের পিছনের দিকে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা লকডাউন করা হলেও বাসভবনে সামনের দিক, সড়ক লকডাইন করা হয়নি। করোনায় আক্রান্ত ডাক্তার দম্পতির বাসভবন এর সামনের সড়কে যানবাহন, পথচারীদের চলাচল স্বাভাবিক আর  পিছনের দিকে এক/ দুই কিলোমিটার দুরের অনন্ত সাহা সড়ক, স্বর্ণপট্রি, চিংড়া মোড়, বকুল তলার পুরাতন ফ্রিজসহ বিভিন্ন স্থানে শুক্রবার দুপুরে লাল ফিতা দিয়ে লকডাউন করা হয়েছে। ফলে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

উল্লেখ্য কেশবপুরে ডাক্তার দম্পতি, তাদের কন্যা ও বাড়ির দুই গৃহকর্মীসহ ৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়। এরপর কেশবপুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কেশবপুর ও ভোগতিনরেন্দ্রপুর (পূর্বাংশ) এলাকা রেড জোনের আওতায় এনে লকডাউন করা হয়েছে।