Type to search

কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে বিজয় দিবস উদযাপন

আন্তর্জাতিক

কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে বিজয় দিবস উদযাপন

 ১৯৭১ সালে বিদেশের মাটিতে প্রথম কূটনৈতিক মিশন কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণে অতি উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের ৫০তম মহান বিজয় দিবস বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) উদযাপন করা হয়েছে।
এদিন সকালে উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান দেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।

এরপর ‘বঙ্গবন্ধু কর্ণার’-এ স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ সময় এক মিনিট নিরবতা পালন শেষে বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের ‘বাংলাদেশ গ্যালারি’-তে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। এরপর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন উপ-হাইকমিশন মসজিদের ইমাম।দু’দিনব্যাপী (১৬ ও ১৭ ডিসেম্বর) বিজয় উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান বলেন, বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের প্রথম মিশন কলকাতা, এর ফলে বাংলাদেশের ৫০তম বিজয় দিবসে এ মিশনে বিজয় উৎসব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ সরকারের প্রথম কার্যালয়ও এ মিশনটি। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ নেওয়ার পর ১৮ এপ্রিল কলকাতা মিশনে প্রথম পতাকা উত্তোলন করা হয়।

তিনি বলেন, ভারতবর্ষ তথা পশ্চিমবঙ্গবাসীর কাছে আমাদের ঋণের শেষ নেই। ৭২ লাখ শরণার্থী পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় নিয়েছিল। এ অঞ্চলের জনগণ তাদের খাবার ভাগ করে আমাদের দিয়েছেন। তাই বাংলাদেশের সুবর্ণ জয়ন্তীতে দেশের জনগণ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গবাসীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

এছাড়া বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) বিজয় উৎসবের দ্বিতীয় দিনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিদ্যুৎ দপ্তরের মন্ত্রী শ্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। প্রধান আলোচক ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির (বীরপ্রতীক)। এছাড়া আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননাপ্রাপ্ত ও বিশিষ্ট সাংবাদিক সুখরঞ্জন দাশগুপ্ত।

‘বাংলাদেশ-এর বিজয় উৎসব-২০২০’ এ প্রতিদিনই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবেশনায় থাকবে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আবৃত্তি, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোকচিত্র ও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী।

বিজয় দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আবৃত্তি করেন শুভদীপ চক্রবর্তী, চিরন্তন বন্ধোপাধ্যায় ও রোজী ঘোষ দে। নৃত্য পরিবেশন করেন সুমিতা ভট্টাচার্য ও তার দল। এরপর বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী শমীক পাল চমৎকার গান পরিবেশন করে দর্শক শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন।

বিজয় উৎসবের দ্বিতীয় দিনে (১৭ ডিসেম্বর) আবৃত্তি করবেন প্রনতি ঠাকুর ও সৌমিত্র ঘোষ। নৃত্য পরিবেশন করবেন সুমিতা ভট্টাচার্য ও তার দল। সঙ্গীত পরিবেশন করবেন বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী রুপঙ্কর বাগচী ও শতাব্দী রায়। এ অনুষ্ঠানের সঞ্চালকের দায়িত্বে ছিলেন সতীনাথ মুখোপাধ্যায়।

 সূত্র,  বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম