Type to search

করোনা আক্রান্ত হয়েছেন যেসব এমপি

জাতীয়

করোনা আক্রান্ত হয়েছেন যেসব এমপি

অপরাজেয় বাংলা ডেক্স : বৈশ্বিক মহামারি করোনা কেড়ে নিয়েছে বর্তমান সংসদের চার জন সংসদ সদস্যকে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে একমাসের মতো মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে বুধবার (১৪ এপ্রিল) চলে গেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কুমিল্লা-৫ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর গত মাসে মারা যান সিলেট-৩ আসনের মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী। এর আগে গত বছর করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান  সিরাজগঞ্জ-১ আসনের এমপি সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এবং নওগাঁ-৬ আসনের এমপি ইসরাফিল আলম। ওই সময় মারা গেছেন টেকনোক্র্যাট কোটার প্রতিমন্ত্রী শেখ মুহম্মদ আবদুল্লাহ। এদিকে গত একবছরে শতাধিক সংসদ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। প্রতিনিয়িত এমপিদের নতুন করে আক্রান্তের খবর পাওয়া যাচ্ছে।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে গত দুই মাসে বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন। এদের অনেকেই আক্রান্ত হন টিকার প্রথম ডোজ  গ্রহণের  পর। কেউ কেউ দ্বিতীয় দফায় আক্রান্ত হয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কয়েকজন এমপি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন কোনও ধরনের লক্ষণ ছাড়াই। সদ্য সমাপ্ত সংসদ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার কারণে সংসদ সচিবালয়ের নির্দেশনা অনুসরণ করে কোভিড-১৯ এর পরীক্ষা করাতে গেলে তাদের পজিটিভ হওয়ার খবর পাওয়া যায়। অবশ্য তীব্র লক্ষণ নিয়ে পরীক্ষা করানোর পর করোনা শনাক্ত হন কেউ কেউ। কয়েকজনকে আবার হাসপাতালে ভর্তি করানোর প্রয়োজন পড়েছে।

দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণের পর করোনা পজিটিভ এসেছে রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশার। বুধবার (১৪ এপ্রিল) রাতেই তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ১৫ এপ্রিল বাদশাকে রাজশাহী থেকে এনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণের ৫ দিনের মাথায় তার পজিটিভ এসেছে। গত ৮ এপ্রিল তিনি দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেন। বাদশা জানান, তিনি গত ৭ ফেব্রুয়ারি টিকার প্রথম ডোজ এবং ৮ এপ্রিল দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেওয়ার পর থেকেই হালকা জ্বর আসে।১২ এপ্রিল থেকে তীব্র জ্বর হয়। তার শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে।

এর আগে গত ৯ এপ্রিল রংপুর-২ আসনের এমপি আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউকের করোনা পজিটিভ আসে। প্রথম ডোজ টিকা নেওয়ার ৪৮ দিন পর ৮ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হন ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদ। ৭ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হন নোয়াখালী-৩ আসনের মো. মামুনুর রশীদ কিরণ। এর আগে ৬ এপ্রিল করোনা আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ও নেত্রকোনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল। পরে তার স্ত্রী যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদিকা অধ্যাপিকা অপু উকিলেরও করোনা পজিটিভ আসে।

বেশ কয়েকজন এমপির করোনা ধরা পড়ে আসে কোনও লক্ষণ ছাড়াই। সদ্য সমাপ্ত সংসদ অধিবেশনে যোগ দিতে বাধ্যতামূলক নমুনা পরীক্ষা করাতে গিয়ে তাদের পজিটিভ আসে। তারা হলেন— সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয়, টাঙ্গাইল-২ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির, আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও গাজীপুর-৫ আসনের মেহের আফরোজ চুমকি, হবিগঞ্জ-১ আসনের  গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ,  সংরক্ষিত আসনের এমপি খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন, কক্সবাজার-১ আসনের মো. জাফর আলম, কক্সবাজার-২ আসনের আশেক উল্লাহ রফিক, কক্সবাজার-৪ আসনের শাহীন আকতার ও সিরাজগঞ্জ-৪ আসনের তানভীর ইমাম। এদের মধ্যে তানভীর শাকিল হয় ও ছোট মনির দ্বিতীয়বারের মতো করোনায় আক্রান্ত হন।

এর আগে করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ৩০ মার্চ হাসপাতালে ভর্তি হন গাজীপুর-৪ আসনের সিমিন হোসেন রিমি। তার পরিবারের অন্য সদস্যরাও করোনা আক্রান্ত হন।

প্রথম ডোজ টিকা নেওয়ার প্রায় দুই মাস পরে ৩০ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন  পাবনা-২ আসনের আহমেদ ফিরোজ কবির। এর আগের দিন ২৯ মার্চ করোনা পজিটিভ আসে জাতীয় পার্টির এমপি নীলফামারী-৪ আসনের আহসান আদেলুর রহমানের। ২৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হন হবিগঞ্জ-২ আসনের এমপি মো. আবদুল মজিদ খান। এর আগে টিকা নেওয়ার দেড় মাস পর গত ২৫ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন রাজবাড়ী-১ আসনের কাজী কেরামত আলী। কেরামত আলীর স্ত্রী গত বছর প্রথম ঢেউয়ের সময়ে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। এর আগে গত ২৩ মার্চ করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ঢাকা-৭ আসনের হাজী মো. সেলিম। ২০ মার্চ সস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত হন সুনামগঞ্জ-৪ আসনের জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমান।

২০ মার্চ করোনায় শনাক্ত হন দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ঢাকা-১৯ আসনের এমপি ডা. এনামুর রহমান।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও কুমিল্লা-৫ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরুর করোনা পজিটিভ আসে গত ১৫ মার্চ। এর পরপরই তিনি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসায় তার করোনা নেগেটিভ এলেও শারীরিক অবস্থার খুব একটা উন্নতি হয়নি। একদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর ১৪ এপ্রিল তিনি মারা যান।

এর আগে ১৩ মার্চ ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী এবং ১২ মার্চ সস্ত্রীক করোনা আক্রান্ত হন গাইবান্ধা-৪ আসনের মনোয়ার হোসেন চৌধুরী। মার্চ মাসের শুরুর দিকে করোনা পজিটিভ হয়েছিল সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদ্য রওশন আরা মান্নানের।

গত ১০ ফেব্রুয়ারি করোনা টিকার প্রথম ডোজ  নেন সিলেট-৩ আসনের সরকার দলের এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী। এর প্রায় এক মাসের মাথায় গত ৭ মার্চ তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। নমুন পরীক্ষা করলে তার ফলাফল পজিটিভ আসে। টিকিৎসাধীন অবস্থায়ই তিনি ১১ মার্চ মারা যান।

এছাড়া ফেব্রুয়ারি মাসে খুলনা-২ আসনের শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল, জানুয়ারি মাসে করোনা আক্রান্ত হন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জিএম কাদের), কুষ্টিয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, গাইবান্ধা-৩ আসনের উম্মে কুলসুম স্মৃতি, সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিনের করোনা পজিটিভ আসে। এর আগে বগুড়া-৭ আসনের স্বতন্ত্র এমপি রেজাউল করিম বাবলু, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্যদের মধ্যে নাহিদ ইজহার খান, শিরীন আহমেদ, জান্নাতুল বাকিয়া, অ্যারোমা দত্তের করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়।

করোনার প্রথম ঢেউয়ে গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭৬ জন এমপির করোনায় আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে মারা যান দুজন। অপরদিকে মন্ত্রিসভার ৪৮ সদস্যের মধ্যে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হন ১৭ জন। তাদের মধ্যে একজন প্রতিমন্ত্রী মারা যান।

সংসদ সদস্যদের মধ্যে প্রথম করোনা আক্রান্ত হন নওগাঁ-২ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকার। দেশে করোনা সংক্রমণের ৫২ দিনের মাথায় গত বছরের ৩০ এপ্রিল তার শরীরে ভাইরাস ধরা পড়ে। পরে এই সংসদ সদস্য আরও একবার আক্রান্ত হন। মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়কমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং প্রথম করোনা আক্রান্ত হন।

৩০ এপ্রিল নওগাঁ-২ আসনের শহীদুজ্জামান সরকার আক্রান্ত হওয়ার পর ১৬ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের এবাদুল করিমের করোনা শনাক্ত হয়। জুনে তিন মন্ত্রী ও এক প্রতিমন্ত্রীসহ ১৬ জন এমপি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। সরকারি দলের এমপি ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মর্তুজারও ওই সময় করোনা হয়। একই মাসে সাবেক মন্ত্রী সিরাজগঞ্জ-১ আসনের মোহাম্মদ নাসিম, গোপালগঞ্জ-৪ আসনের মুহম্মদ ফারুক খান, ফরিদপুর-৩ আসনের ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী গাজীপুর-১ আসনের আ ক ম মোজাম্মেল হক, বাণিজ্যমন্ত্রী রংপুর-৪ আসনের টিপু মুনশি, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়কমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, সাবেক চিফ হুইপ ও মৌলভীবাজার-৪ আসনের উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ, যশোর-৪ আসনের রণজিৎ কুমার রায়, জামালপুর-২ আসনের ফরিদুল হক খান (বর্তমানে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী), চট্টগ্রাম-৮ আসনের মোসলেম উদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রাম-১৬ আসনের মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, সিলেট-২ আসনের মোকাব্বির খান, নড়াইল-২ আসনের মাশরাফি বিন মুর্তজা, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বরিশাল-৫ আসনের জাহিদ ফারুক, রাজশাহী-৪ আসনের এনামুল হক এবং সংরক্ষিত আসনের ২৫ জুন ফেরদৌসী ইসলাম জেসির করোনা আক্রান্ত হন। এদের মধ্যে মোহম্মদ নাসিম ১৩ জুন মারা যান। একই দিনে করোনায় মারা যান ধর্মপ্রতিমন্ত্রী শেখ মুহম্মদ আবদুল্লাহ।

গত বছরের জুলাই মাসে করোনা আক্রান্ত হন নওগাঁ-৬ আসনের  ইসরাফিল আলম, সিরাজগঞ্জ-৫ আব্দুল মমিন মণ্ডল, নওগাঁ ৩-এর ছলিম উদ্দিন তরফদার, সাতক্ষীরা-২ আসনের মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, টাঙ্গাইল-৮ আসনের জোয়াহেরুল ইসলাম ও কুড়িগ্রাম-৩ আসনের এম এ মতিন। এদের মধ্যে ইসরাফিল আলম ২৭ জুলাই মারা যান।

আগস্টে একমন্ত্রীসহ ১১ জন এমপি করোনায় আক্রান্ত হন। তারা হলেন— মৌলভীবাজার-১ আসনের এমপি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, চট্টগ্রাম-৬ আসনের এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, বিএনপির সংরক্ষিত আসনের রুমিন ফারহানা, সংরক্ষিত আসনের সালমা চৌধুরী, ঠাকুরগাঁও-১ রমেশ চন্দ্র সেন, ঠাকুরগাঁও-২ আসনের দবিরুল ইসলাম, রাজশাহী-৫ আসনের মনসুর রহমান, টাঙ্গাইল-৭ আসনের মো. একাব্বর হোসেন, পটুয়াখালী-৩ আসনের এস এম শাহজাদা, মেহেরপুর-২ আসনের মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান ও কিশোরগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নুর মোহাম্মদ।

সেপ্টেম্বরে আক্রান্ত হন দিনাজপুর-২ আসনের এমপি নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, খুলনা-৬ আসনের আক্তারুজ্জামান বাবু, টাঙ্গাইল-২ ছোট মনির, শেরপুর-১ আসনের এমপি হুইপ আতিউর রহমান আতিক ও বরিশাল-৪ আসনের সংসদ সদস্য পংকজ নাথ।

অক্টোবর মাসে আক্রান্ত হন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও চট্টগ্রাম-১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন,হবিগঞ্জ-৩ আসনের মো. আবু জাহির এবং ফেনী-৩ আসনের জাতীয় পার্টির মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী।

নভেম্বরে মাসে তিন মন্ত্রী, দুই প্রতিমন্ত্রী, একজন উপমন্ত্রী ও একজন হুইপসহ  ২৩ জন এমপি আক্রান্ত হন। আক্রান্তরা হলেন— বাগেরহাট-১ আসনের শেখ হেলাল উদ্দীন, টাঙ্গাইল-৫ ছানোয়ার হোসেন, ঢাকা-১০ আসনের শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন,পাবনা-৪ আসনের নুরুজ্জামান বিশ্বাস, নওগাঁ-২ আসনের শহীদুজ্জামান সরকার, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, পাবনা-৩ আসনের মকবুল হোসেন, ঢাকা-১৩ আসনের সাদেক খান, সিলেট-৪ আসনের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ, কিশোরগঞ্জ-৩ আসনের মুজিবুল হক চুন্নু, লালমনিরহাট-১ আসনের মোতাহার হোসেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী  ঢাকা-১২ আসনের আসাদুজ্জামান খান কামাল, বগুড়া-৩ আসনের নুরুল ইসলাম তালুকদার, ঢাকা-১৭ আসনের আকবর হেসেন পাঠান (নায়ক ফারুক), গাজীপুর-২ আসনের এমপি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, কুষ্টিয়া-৩ আসনের মাহবুব উল আলম হানিফ, ঝিনাইদহ-৩ আসনের শফিকুল আজম খান চঞ্চল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিলেট-১ আসনের ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রাজশাহী-৬ শহারিয়ার আলম, জাতীয় সংসদের হুইপ জয়পুরহাট-২ আসনের আবু সাঈদ আল মাহমুদ (স্বপন), বিএনপির এমপি ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদুর রহমান এবং সংরক্ষিত নারী আসনের নাদিরা ইয়াসমিন জলি ও তাহমিনা বেগম।

শিক্ষামন্ত্রী ও চাদঁপুর-৩ আসনেনর এমপি ডা. দীপু মনিসহ ডিসেম্বরে আট জন এমপির করোনা ধরা পড়ে। অন্যরা হলেন— নীলফামারী-২ আসনের সংসদ সদস্য অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও সিলেট-৬ আসনের নুরুল ইসলাম নাহিদ, মুন্সীগঞ্জ-২ আসনের সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, বগুড়া-১ সাহাদারা মান্নান, চট্টগ্রাম-১২ আসনের সংসদ সদস্য হুইপ সামশুল হক চৌধুরী ও পাবনা-৫ আসনের গোলাম ফারুক প্রিন্স। সূত্র,  বাংলা ট্রিবিউন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *