Type to search

করোনার ত্রাণ বিতরণে অনিয়মরে খবর প্রচার করায় তিন সাংবাদিকে ওপর চায়ারম্যানের হামলা

জাতীয়

করোনার ত্রাণ বিতরণে অনিয়মরে খবর প্রচার করায় তিন সাংবাদিকে ওপর চায়ারম্যানের হামলা

অপরাজেয় বাংলা ডেক্স-হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে সরকারি ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের খবর প্রচার করায় তিন সাংবাদিককে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে ই‌উপি চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান হারুনের বিরুদ্ধে। গতকাল বুধবার বিকেলে আউশকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে সরকারি ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের সংবাদ প্রচার করায় সন্ত্রাসী নিয়ে সাংবাদিক শাহ সুলতান আহমেদকে ক্রিকেট খেলার ব্যাট দিয়ে পেটালেন আউশকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান হারুন ও তার লোকজন। এ সময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে হামলার শিকার হন সাংবাদিক এম মুজিবুর রহমান, বুলবুল আহমেদসহ আরও দুজন।

এ সময় আউশকান্দি বাজারের ব্যবসায়ী প্রতিবাদী হয়ে উঠলে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিশ্বজিত কুমার পাল, নবীগঞ্জ-বাহুবলের সার্কেলের এএসপি পারভেজ আলম চৌধুরী, নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।

স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি সরকারি ত্রাণ বিতরণ করেন ইউপি চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান হারুন। কিন্তু ১০ কেজি চাল দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি দেন ৫ কেজি করে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘আসুন অসহায় দিনমজুরদের মনের কথা শুনি’ শিরোনামে এক লাইভে সাধারণ মানুষের বক্তব্যসহ অনিয়মের বিষয়টি তুলে ধরেন সাংবাদিক সুলতান। এরপর ২০/২৫ জন সন্ত্রাসী নিয়ে অস্ত্র সহকারে আউশকান্দি বাজারে শাহ সুলতান আহমেদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়।

এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান হারুনও ক্রিকেট খেলার ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন সুলতানকে। এ খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করতে গেয়ে দৈনিক আমার সংবাদের প্রতিনিধি মুজিবুর রহমান, চ্যানলে এস’র প্রতিনিধি বুলবুল আহমেদসহ আরও পাঁচজন আহত হন। স্থানীয় লোকজন শাহ সুলতানকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত কুমার পাল দৈনিক আমাদের সময়কে জানান, সম্প্রতি আউশকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে দুস্থদের মধ্যে চাল বিতরণ করা হয়। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি লাইভ দেওয়া হয়। এ ঘটনায় চেয়ারম্যান ও সাংবাদিকের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে।

তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে সাংবাদিক মামলা দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চেয়ারম্যানের নিজের হাতে আইন নেওয়া সঠিক হয়নি।

এ বিষয়ে নবীগঞ্জ-বাহুবলের সার্কেল এএসপি পারভেজ আলম চৌধুরী বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়েছি। স্থানীয় মুরব্বিয়ান বিষয়টি সমাধার ব্যাপারে বলেছেন। যদি সামাজিকভাবে সমাধান না হয় তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।’

এ বিষয়ে কথা বলতে ইউপি চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান হারুনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

সূত্র- আমাদের সময়

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *